ভাইঝিকে পাচারের অভিযোগে ধৃত পিসি

ভাইঝিকে পুনের একটি যৌনপল্লিতে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগে সম্পর্কিত পিসিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃত রেহেনা মোল্লাকে বুধবার আলিপুর আদালতে তোলা হলে ১৪ দিন জেল হাজত হয়। উদ্ধার হয়েছে পাচার হয়ে যাওয়া তরুণীকেও। ঘটনাটি ক্যানিঙের আমতলার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ক্যানিং শেষ আপডেট: ১৬ জুলাই ২০১৫ ০১:৫৬
Share:

ভাইঝিকে পুনের একটি যৌনপল্লিতে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগে সম্পর্কিত পিসিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃত রেহেনা মোল্লাকে বুধবার আলিপুর আদালতে তোলা হলে ১৪ দিন জেল হাজত হয়। উদ্ধার হয়েছে পাচার হয়ে যাওয়া তরুণীকেও। ঘটনাটি ক্যানিঙের আমতলার। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত রেহেনা বছর ছ’য়েক আগে বাড়ি থেকে পালিয়ে পুনের ওই যৌনপল্লিতে আশ্রয় নেয়। সেখানেই এক জনকে সে বিয়ে করে। বর্তমানে রেহেনা ৯ মাসের গর্ভবতী। ভাইঝির স্বামীর অভিযোগ, ‘‘মাঝে মধ্যে আমতলায় আসত রেহেনা। ৬ জুলাই বারুইপুরে ডাক্তার দেখাতে যাবে বলে আমার স্ত্রীকে সঙ্গে করে নিয়ে যায়। রেহেনা ফিরে এলেও স্ত্রী সঙ্গে আসেনি। জিজ্ঞাসা করলে রেহানা বলে, এ ব্যাপারে সে কিছু জানে না।’’ স্ত্রীকে খুঁজে না পেয়ে থানায় রেহেনার নামে অভিযোগ দায়ের করেন ওই মহিলার স্বামী। তাঁর দাবি, কিছু দিন পরে জানতে পারেন, তাঁর স্ত্রীকে পাচারের জন্য চরনের কাছে অন্য এক মহিলার হাতে তুলে দিয়েছিল রেহেনা।

Advertisement

পুলিশের দাবি, জেরায় রেহেনা জানিয়েছে, ওই দিন বেহুঁশ করে অন্য এক মহিলার হাতে তুলে দেয় ভাইঝিকে। পরে পুণের যৌনপল্লিতে পাচার করে দেওয়া হয় ওই তরুণীকে। রেহেনাকে গ্রেফতার করার পরে তাকে দিয়েই পুণের ওই যৌনপল্লিতে ফোন করায় পুলিশ। রেহেনাই কথাবার্তা বলে মেয়েটিকে সেখান থেকে আনানোর ব্যবস্থা করে। ১৩ জুলাই সেখান থেকে ৩০০ টাকা দিয়ে ট্রেনে তুলে দেওয়া হয় পাচার হয়ে যাওয়া ওই তরুণীকে। বুধবার ভোরে হাওড়া স্টেশন থেকে তাঁকে উদ্ধার করে ক্যানিং থানার পুলিশ। এ দিন, তিনি আলিপুর আদালতে গোপন জবানবন্দি দিয়েছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন