ভাঙাচোরা ঘোষপাড়া রোড, সারানো হয় না দীর্ঘ দিন

শিল্পাঞ্চলের জন্মলগ্ন থেকেই তৈরি হয়েছে রাস্তা। কিন্তু দিনের পর দিন গাড়ির চাপ, মানুষজন বাড়লেও গায়ে-গতরে চওড়া হয়নি রাস্তা। জোড়াতাপ্পি ছাড়া নতুন করে ঢেলে সারানোও হয়নি ভাঙা রাস্তা। এই রাস্তা মাড়িয়েই রাত-দিন ছুটছে বাস, লরি, কল-কারখানার ভারি ভারি যান-বাহন। কোথাও পিচ উঠে গর্ত বেরিয়ে গিয়েছে। কোথাও আবার হাড় জিরজিরে কঙ্কালসার চেহারার মতো ইট বেরিয়ে থাকা রাস্তার উপর দিয়েই ধুলো উড়িয়ে গাড়ি চলছে। আর এর জন্য নাকাল হচ্ছেন রাস্তার ধারের বাসিন্দা আর পথচারীরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ব্যারাকপুর শেষ আপডেট: ০৫ মার্চ ২০১৫ ০০:৫৪
Share:

শিল্পাঞ্চলের জন্মলগ্ন থেকেই তৈরি হয়েছে রাস্তা। কিন্তু দিনের পর দিন গাড়ির চাপ, মানুষজন বাড়লেও গায়ে-গতরে চওড়া হয়নি রাস্তা। জোড়াতাপ্পি ছাড়া নতুন করে ঢেলে সারানোও হয়নি ভাঙা রাস্তা। এই রাস্তা মাড়িয়েই রাত-দিন ছুটছে বাস, লরি, কল-কারখানার ভারি ভারি যান-বাহন। কোথাও পিচ উঠে গর্ত বেরিয়ে গিয়েছে। কোথাও আবার হাড় জিরজিরে কঙ্কালসার চেহারার মতো ইট বেরিয়ে থাকা রাস্তার উপর দিয়েই ধুলো উড়িয়ে গাড়ি চলছে। আর এর জন্য নাকাল হচ্ছেন রাস্তার ধারের বাসিন্দা আর পথচারীরা।

Advertisement

ব্যারাকপুর থেকে কাঁচরাপাড়া পর্যন্ত প্রায় ২৭ কিলোমিটার রাস্তার নাম ঘোষপাড়া রোড। রাস্তার এই হাল ঠিক কবে থেকে, তা ভুলেই গিয়েছেন এলাকাবাসী। এমনিতেই অসংখ্য ছোট-বড় গর্ত। তার উপরে মাটির তলা দিয়ে যাওয়া বিদ্যুতের লাইন, টেলিফোন লাইন। এমনকী, নিকাশি নালা মেরামতির জন্য খোঁড়া রাস্তা ঠিকভাবে মেরমতিও করা হয় না বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। গাড়ি চালানো তো পরের কথা, রাস্তা এতটাই বেহাল যে দিনের বেলা সাইকেল চালাতেও ভয় পান মানুষজন। বিপদের আশঙ্কা মাথায় নিয়েই এই পথে যাতায়াত করেন স্থানীয় মানুষ। প্রায়শই ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটে। ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের অন্যতম পুরনো এই রাস্তায় প্রতিদিন কয়েক হাজার গাড়ি চলে। তিনটি রুটের বাস চলে, গঙ্গার ধার বরাবর এই রাস্তার দু’ধারে কল-কারখানা থাকায় মাল বোঝাই ট্রাক ও লরিও চলাচল করে। তা ছাড়া, এই রাস্তার দু’ধারে অসংখ্য দোকান ও বাজার থাকায় সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ভিড় উপচে পড়ে। কারখানাগুলোতে শিফট্‌ শেষে বা শুরুর সময়ে রাস্তায় ভয়ানক যানজট হয়। তার মধ্যে রাস্তা ভেঙে যাওয়ায় গোদের উপরে বিষফোঁড়ার মতো অবস্থা।

ঘোষপাড়া রোডে সব থেকে বেশি যানজট হয় জগদ্দল, ভাটপাড়া এবং নৈহাটি স্টেশনের কাছে। নৈহাটির বিধায়ক তৃণমূলের পার্থ ভৌমিক বলেন, “ঘোষপাড়ার রোডটিতে গাড়ির চাপ বেশি থাকে বলে রাস্তার খারাপ অবস্থা। পূর্তমন্ত্রীকে বিষয়টি জানিয়েছি, তিনি বিষয়টি দেখছেন।” ব্যারাকপুরের মহকুমাশাসক পূর্ণেন্দুকুমার মাজি বলেন, “ওই রাস্তা সংস্কারের জন্য পূর্ত দফতরকে অবিলম্বে কাজ শুরুর কথা বলেছি।”

Advertisement

পূর্ত দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মাত্র ৬ মিটার চওড়া এই রাস্তায় ইছাপুর, শ্যামনগর, জগদ্দল ও নৈহাটিতে বড় বাজার বসায় যান চলাচলে অসুবিধা হয়। শুধু তাই নয়, রাস্তা সারানোর ক্ষেত্রেও সাত-পাঁচ ভাবতে হয়। রাস্তাটি দু’পাশের জমি থেকে নিচু হওয়ায় বাজার ও রাস্তার দু’পাশের জল এসে রাস্তায় জমে। পূর্ত দফতরের উত্তর কলকাতা ডিভিশনের এক কর্তা বলেন, “বর্ষার জল জমে আর সারা বছর যে হারে গাড়ির চাপ থাকে তাতে রাস্তা খারাপ হয়েছে। তার উপরে পুরসভা ও সিইএসসি মাঝে মাঝে রাস্তা খুঁড়ে ফেলে, তারপরে আমাদের তা সারাতে হয়। কিন্তু এ বার প্রায় গোটা রাস্তাটাই ভেঙে গিয়েছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন