ডায়মন্ড হারবারের বিধায়ক দীপক হালদারের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে ‘আক্রান্ত আমরা’র সদস্য, শিক্ষক মইদুল ইসলাম মোল্লাকে থানায় হাজিরার নোটিস পাঠাল পুলিশ। বুধবার তাঁর বাড়িতে ওই নোটিস টাঙিয়ে দিয়েছে পুলিশ। সুবিচারের আশায় উচ্চতর আদালতে জামিনের আবেদন করছেন ওই শিক্ষক। যদিও বিধায়কের বিরুদ্ধে আমিড়ার মহিলাদের দায়ের করা অভিযোগের তদন্ত এখনও চলছে বলে পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার মইদুলকে থানায় হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মইদুলের বিরুদ্ধে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে তাঁর দফতরের হামলার অভিযোগ দায়ের করেছিলেন দীপকবাবু। মইদুলের অবশ্য দাবি, বিধায়ক প্রতিহিংসাবশত ওই অভিযোগ করেছেন।
গত ১২ ফেব্রুয়ারি আমিড়ার মহিলারা রাস্তা সারাইয়ের দাবি নিয়ে বিধায়কের দফতরে গেলে বচসা বাধে। মহিলাদের ঘাড়ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হয় বলে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। পরে থানায় গিয়ে পাল্টা অভিযোগ দায়ের করেন বিধায়ক। মহিলাদের বিরুদ্ধে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করা, টেবিল চেয়ার উল্টে ফেলা এবং মইদুলের বিরুদ্ধে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে দীপকবাবুকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ দায়ের হয়। এ দিন বিধায়ক বলেন, “মইদুল আমার দফতরে এসে হুমকি দেয়। আগ্নেয়াস্ত্র ছিল ওর হাতে। তাই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।” এক দিকে, বিধায়কের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে যেখানে মইদুলের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করছে পুলিশ, আমিড়া গ্রামের বাসিন্দাদের দায়ের করা মামলার ক্ষেত্রে সে রকম হচ্ছে না কেন? পুলিশ সূত্রে দাবি করা হয়েছে, বিধায়কের বিরুদ্ধে মহিলাদের দায়ের করা মামলার তদন্ত এখনও চলছে।