এক মহিলার অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ উঠল। পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের না হলেও মৃতার পরিবারের তরফে স্থানীয় দুই তৃণমূল নেত্রী এবং এক পুলিশ কর্মী-সহ চার জনের ইন্ধনের কথা মৌখিক ভাবে জানানো হয়েছে। স্বভাবতই অভিযোগ মানতে চাননি স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৯ সেপ্টেম্বর দেগঙ্গার চৌরাসি পঞ্চায়েতের রাজুকবেড়ে গ্রামের বাসিন্দা ফৌজিয়া খানম (৪১) কীটনাশক খান। আরজিকর হাসপাতালে গত শুক্রবার তাঁর মৃত্যু হয়। ময়না-তদন্তের পরে রবিবার দেহ গ্রামে এনে কবরস্থ করা হয়। গত পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলের হয়ে প্রার্থী হয়েছিলেন ফৌজিয়া। তবে জয়ী হতে পারেননি। তাঁর এক ছেলে সাহনওয়াজ তরফদার বলেন, “মায়ের মোবাইলে একটা ভয়েজ মেল থেকে চার জনের নাম জানা গিয়েছে। মা নিজের গলায় বলে গিয়েছেন, এক পুলিশকর্মী, তৃণমূলের দুই নেত্রী-সহ চার জন মাকে নানা ভাবে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করেছেন। সে জন্যই আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন মা।”
মোবাইলের ওই রেকর্ডিং এলাকায় ছড়িয়ে পড়ায় উত্তেজনা দেখা দেয়। দিনভর এ সব নিয়ে দেগঙ্গা থানার সামনে জমায়েত ছিল। কিন্তু শেষমেশ থানায় অভিযোগ করেননি মৃতার পরিবার। কেন, তার ব্যাখ্যাও দেননি কেউ। বসিরহাটের সাংসদ তথা তৃণমূল নেতা ইদ্রিস আলি বলেন, “এখন লিখিত অভিযোগ না করলেও যে কোনও ঘটনায় তৃণমূলকে যুক্ত করে মিথ্যা এবং অপপ্রচার চালানোটা কিছু মানুষ রেওয়াজে পরিণত করেছেন। কেন এবং কী উদ্দেশ্যে এমন অভিযোগ তোলা হচ্ছে, তা জেনে দোষীদের শাস্তির জন্য পুলিশকে বলা হয়েছে।” পুলিশ ইতিমধ্যেই অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে।