দুষ্কৃতীদের উপদ্রবে অতিষ্ঠ বসিরহাটবাসী। প্রায়ই কোনও না কোনও মহিলার হাত ব্যাগ কিংবা গলা থেকে হার ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। পুলিশকে জানানো সত্ত্বেও কোনও প্রতিকার মিলছে না বলে অভিযোগ। না কেউ গ্রেফতার হচ্ছে, না উদ্ধার হচ্ছে খোয়া যাওয়া জিনিসপত্র। পুলিশের অবশ্য দাবি, প্রতি ক্ষেত্রেই তদন্ত হচ্ছে।
মঙ্গলবার রাত সওয়া ৮টা নাগাদ রাতের ট্রেনে বসিরহাট স্টেশনে নেমে স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে ভ্যান রিকশায় চেপে বসিরহাটের নৈহাটির বাড়িতে ফিরছিলেন শিক্ষক তপন ঘোষ। মিনাখাঁর নিমিচি হাইস্কুলে সহকারী প্রধান শিক্ষক তপনবাবুর স্ত্রী সুতপাদেবী বসিরহাট প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকা। ছেলে থাকে বেঙ্গালুরুতে। সেখান থেকেই ফিরছিলেন স্বামী-স্ত্রী। ভ্যান রিকশাটি এস এন মজুমদার রোড দিয়ে মুন্সিবাগান ছাড়িয়ে একটু এগোনোর পরেই মোটর বাইকে চেপে দুই দুষ্কৃতী হাজির হয় সেখানে। পিছনে বসা দুষ্কৃতী সুতপাদেবীর হাতের ব্যাগ ধরে হেঁচকা টান মারে। ব্যাগের হাতল শক্ত করে ধরে ছিলেন সুতপাদেবী। টানাটানিতে ভ্যান থেকে ছিটকে পড়ে যান ওই শিক্ষিকা। ব্যাগটি ছিনিয়ে নিয়ে পালায় দুষ্কৃতীরা। স্ত্রীকে বাঁচাতে গিয়ে ভ্যান থেকে ছিটকে পড়েন তপনবাবুও। সে সময়ে গাড়ি নিয়ে আসছিলেন এক যুবক। তিনি ওই দম্পত্তিকে গাড়িতে তুলে নিয়ে দুষ্কৃতীদের ধরার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তাদের আর পাত্তা পাওয়া যায়নি। রাতেই শিক্ষক দম্পত্তি থানায় অভিযোগ করেন। বসিরহাট হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য যান সুতপাদেবী। ক্ষুব্ধ দম্পত্তির বক্তব্য, “এত দূর থেকে ঘুরে এলাম। কোথাও কোনও বিপদ হল না। হবি তো হ, একেবারে ঘরের কাছে এসে!’’
গত তিন দিন ধরেই বসিরহাটের টাউনহলের কাছে রাস্তায় সন্ধ্যার সময়ে একই ভাবে দুই মোটর বাইক আরোহী এক মহিলা স্বাস্থ্যকর্মীর গলা থেকে হার ছিনতাই করে পালায়। বসিরহাটের ইছামতী সেতু, ৩ নম্বর কলোনি, মার্টিনবার্ন রোড, বড় জিরাফপুর রোডে প্রায়শই এ ধরনের ঘটনা ঘটছে।