অভিজাত একটি শাড়ির দোকানে শনিবার দুপুরে শাড়ি কিনতে ঢুকেছিল তিন মহিলা। বেশ ভিড়ও ছিল দোকানে। অনেক শাড়ি দেখার পরেও একটিও পছন্দ হয়নি। বেরোবে বলে উঠে দাঁড়ায় তারা। কিন্তু দরজার সামনে যেতেই বিপত্তি। হঠাৎই তিন মহিলার শাড়ির ভাঁজ থেকে পড়ে যায় আট-আটটি শাড়ি, যা দেখে দোকানমালিকের চক্ষু চড়কগাছ। কর্মচারীরা এসে পাকড়াও করেন তাঁদের। হাবরা থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিশ এসে তাদের গ্রেফতার করে।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত ওই তিন মহিলার নাম টুম্পা পাল, শিখা পাল ও গীতা পাল। সকলেরই বাড়ি দত্তপুকুর থানার বামনগাছি এলাকায়। পুলিশের দাবি, অভিযোগ স্বীকার করে নিয়ে ওই তিন মহিলা জানিয়েছে, ওই শাড়ি বিক্রি করে পুজোর কেনাকাটা করাই তাদের উদ্দেশ্য ছিল। এই প্রথমই এমন কাজ করেছে তারা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কয়েক দিন ধরেই উত্তর ২৪ পরগনার বিভিন্ন জেলায় সক্রিয় শাড়ি চুরির এই চক্রটি। কিছুদিন আগে বনগাঁ শহরের একটি দোকান থেকে শাড়ি চুরি করে পালানোর সময়ে ধরা পড়ে যায় বেশ কয়েকজন মহিলা। যদিও প্রথমে তারা তা স্বীকার করেনি। তবে ওই দোকানে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা থাকার ফলে তাদের আর শেষ রক্ষা হয়নি। পুলিশ জানিয়েছে, দুর্গা পুজো বা ঈদের সময়ে মূলত নামী দোকানগুলোতেই এই কাজকর্ম চালায় এই চক্রটি। সেই সঙ্গে ওই সব দোকানে ভিড় বেশি থাকায় ক্রেতাদের উপর বেশি নজর রাখা সম্ভব হয় না। দলে পাঁচ-ছ’জন বা কখনও তারও বেশি মহিলা থাকে। কেউ শাড়ি বাছে, কেউ পাশে দাঁড়িয়ে থাকে। মুহূর্তের মধ্যে এক হাত থেকে অন্য হাতে চালান হয়ে যায় শাড়ি। কখন যে শাড়ি নিয়ে চম্পট দেয়, তা সহজে ধরা যায় না। চক্রের বাকি সদস্যদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।