বন্ধ ঘর মধ্যে থেকে উদ্ধার হল মহিলার গলার নলিকাটা রক্তাক্ত দেহ। পাশের ঘর থেকে মিলল মহিলার স্বামীর গলায় কাপড়ের ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত দেহ। সোমবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে রায়দিঘির বামুনেরচক গ্রামে। পূর্ণেন্দু দলুই (৪৪) ও তাঁর স্ত্রী কৃষ্ণার (৩৮) দেহ ময়না-তদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পেশায় দিনমজুর পূর্ণেন্দুবাবুর নিজের বাড়ি ছিল ওই এলাকায় জটা বরদানগর গ্রামে। বছর পঁচিশ বছর আগে বামুনেরচক গ্রামের কৃষ্ণার সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই জীবিকার তাগিদে কলকাতায় থাকতেন ওই দম্পত্তি। কয়েক বছর আগে বামুনেরচক গ্রামের শ্বশুরবাড়ির জমিতে ঘর বেঁধে বসবাস শুরু করেন। তাঁদের দুই মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। এক ছেলে কলকাতায় পড়াশোনা করে। স্ত্রীর বিবাহ বহির্ভূত সর্ম্পক আছে বলে সন্দেহ করতেন পূর্ণেন্দু। তা নিয়ে গত কয়েক মাস ধরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি শুরু হয়। ইদানীং কলকাতা থেকে ফিরে এসে এক বাড়িতে থাকলেও আলাদা খাওয়া-দাওয়া করতেন দু’জনে।
এ দিন বেলা ১২টা নাগাদ পাশের আদকপাড়া গ্রামের এক যুবক পূর্ণেন্দু দলুইয়ের বাড়িতে এসে দেখেন, একটি ঘরের দরজায় বাইরে থেকে তালা ঝোলানো। পাশের ঘরটি ভিতর থেকে বন্ধ। অনেক ডাকাডাকির করেও সাড়াশব্দ না পেয়ে ওই যুবক প্রতিবেশীদের বিষয়টি জানান। পরে প্রতিবেশীরা এসে জানলা দিয়ে দু’টি ঘরে দু’টি দেহ দেখতে পান। পুলিশ খবর দেওয়া হয়। ঘটনাস্থলে এসে দু’টি ঘরের দরজা ভেঙে দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
খাড়ি পঞ্চায়েতের স্থানীয় গ্রামের সদস্য তপন বর বলেন, “ওঁদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বনিবনা ছিল না বলে শুনেছি।”
পুলিশ জানিয়েছে রাত পর্যন্ত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, সন্দেহবশত স্ত্রীকে কুপিয়ে খুন করে ওই ব্যক্তি আত্মঘাতী হয়েছেন। খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র অবশ্য এখনও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।