হামলার নালিশ, রাস্তা অবরোধ করল বিজেপি

কলেজে স্মারকলিপি দিয়ে ফেরার পথে বিজেপির ছাত্র-যুব সংগঠনের সমর্থকদের উপরে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ছেলেরা চড়াও হল বলে অভিযোগ। প্রতিবাদে কিছু ক্ষণের জন্য পথ অবরোধ করে বিজেপি। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক স্বার্থে নিযুক্ত অস্থায়ী কর্মীদের অবিলম্বে ছাঁটাই, গণতান্ত্রিক পদ্ধতি মেনে দ্রুত কলেজে ভোট করানো-সহ সতেরো দফা দাবিতে সোমবার সকালে গোপালনগরের নহাটা যোগেন্দ্রনাথ মণ্ডল স্মৃতি মহাবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শেখ কামালউদ্দিনের কাছে স্মারকলিপি দেয় ভারতীয় জনতা যুবমোর্চা ও অখিল বিদ্যার্থী পরিষদ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গোপালনগর শেষ আপডেট: ০৮ জুলাই ২০১৪ ০০:৪৪
Share:

কলেজ গেটের বাইরে বিজেপি সমর্থকেরা।

কলেজে স্মারকলিপি দিয়ে ফেরার পথে বিজেপির ছাত্র-যুব সংগঠনের সমর্থকদের উপরে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ছেলেরা চড়াও হল বলে অভিযোগ। প্রতিবাদে কিছু ক্ষণের জন্য পথ অবরোধ করে বিজেপি। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

Advertisement

বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক স্বার্থে নিযুক্ত অস্থায়ী কর্মীদের অবিলম্বে ছাঁটাই, গণতান্ত্রিক পদ্ধতি মেনে দ্রুত কলেজে ভোট করানো-সহ সতেরো দফা দাবিতে সোমবার সকালে গোপালনগরের নহাটা যোগেন্দ্রনাথ মণ্ডল স্মৃতি মহাবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শেখ কামালউদ্দিনের কাছে স্মারকলিপি দেয় ভারতীয় জনতা যুবমোর্চা ও অখিল বিদ্যার্থী পরিষদ। কলেজ গেটের বাইরে স্লোগান দেওয়া হয়। বিক্ষোভ দেখানো হয়। প্রতিবাদ সভাও হয়। বিজেপির নেতারা উপস্থিত ছিলেন সেখানে। পরে সাত জনের একটি প্রতিনিধি দল ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের কাছে গিয়ে স্মারকলিপি দেয়। কামালউদ্দিন বলেন, ‘‘প্রতি বছরই নিয়ম মেনে কলেজে ছাত্র সংসদের ভোট হয়ে থাকে। গত বার তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ছাড়া অন্য কেউ মনোনয়ন জমা দেয়নি। জেলাশাসক জেলার প্রতিটি কলেজের অধ্যক্ষদের নিয়ে বৈঠক করে নির্বাচনের দিন ঠিক করেন। কলেজের পক্ষ থেকে নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক করা যায় না।’’ ১৭ জন অস্থায়ী কর্মী নিয়োগ হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “১৭ জন অস্থায়ী কর্মীকে পরিচালন সমিতি বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নিয়ে কাজে নিয়েছে। আমি পরিচালন সমিতির সম্পাদক হিসাবে ওই সিদ্ধান্ত মেনে তাদের কাজে নিয়েছি।” তবে এ বিষয়ে বিজ্ঞাপন দেওয়া বা ইন্টারভিউ নেওয়া হয়নি বলে মেনে নেন তিনি।


টিএমসিপির বিক্ষোভ।

Advertisement

পরিচালন সমিতির সভাপতি তথা বনগাঁ দক্ষিণ কেন্দ্রের বিধায়ক সুরজিৎ বিশ্বাস বলেন, ‘‘কলেজে স্থায়ী কর্মীর অভাব। তাই যাবতীয় নিয়ম মেনে সম্পূর্ণ অস্থায়ী ভাবে (নো ওয়ার্ক নো পে) ভিত্তিতি কয়েক জনকে নেওয়া হয়েছে। ওদের কোনও নিয়োগপত্রও দেওয়া হয়নি।’’ কলেজে লেডিজ হোস্টেল তৈরির কাজ চলছে। ই-টেন্ডারের বদলে সাধারণ টেন্ডার ডেকেই কাজ হচ্ছে বলে অধ্যক্ষ জানিয়েছেন।

গোলমালের আশঙ্কায় এ দিন বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়ন করা হয়েছিল। দুপুরে তাদের দুই কর্মীর উপরে তৃণমূলের তরফে হামলা চালিয়ে মারধর হয়েছে এই অভিযোগ তুলে স্থানীয় পাল্লা এলাকায় ঘণ্টা খানেকের জন্য রাস্তা অবরোধ করে বিজেপি। দলের নেতা কেডি বিশ্বাস বলেন, ‘‘স্মারকলিপি দিয়ে আমাদের দুই কর্মী মোটর বাইকে ফিরছিলেন। বাইক থামিয়ে তৃণমূলের লোকেরা তাঁদের মারধর করেছে।’’ অভিযোগ দায়ের হয়েছে পুলিশের কাছে। সেই অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূল নেতা অলোক নন্দী বলেন, ‘‘বিজেপির কর্মীরাই আমাদের এক ছাত্র নেতার বাড়িতে গিয়ে হামলা চালিয়েছে। হুমকিও দেওয়া হয়েছে।’’

—নিজস্ব চিত্র।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন