চাকরির টোপ দিয়ে তরুণীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ, গ্রেফতার ৩

চাকরি দেওয়ার নাম করে এক অসমের তরুণীকে ফুঁসলিয়ে চন্দননগরে এনে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠল। এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে রবিবার তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চুঁচুড়া শেষ আপডেট: ১৬ অগস্ট ২০১৫ ১৫:৩৮
Share:

চাকরি দেওয়ার নাম করে এক অসমের তরুণীকে ফুঁসলিয়ে চন্দননগরে এনে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠল। এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে রবিবার তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, বছর তেইশেই ওই তরুণীর বাড়ি অসমের শিবসাগরের খুড়ানকুকড়ি গ্রামে। মাস তিনেক আগে নির্মলা দাস নামে এক পরিচিত মহিলা ওই তরুণীকে চাকরি দেওয়ার নাম করে কেরলে নিয়ে যায়। নির্মলার সঙ্গে তার স্বামীর পরিচয়ে আব্দুল হাশিম নামে এক যুবকও কেরলে যায় বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু, কেরলে কোনও কাজ না মেলায় ওই তরুণীকে এর পর চেন্নাই নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কিছু দিন থাকার পর গত সপ্তাহে কলকাতায় আসে ওই তিন জন। এর পর তরুণীকে নিয়ে হুগলির ভদ্রেশ্বরে যায় নির্মলা ও আব্দুল। ভদ্রেশ্বরের বিঘাটি এলাকায় একটি বাড়ি ভাড়া নেয় তারা।

ওই বাড়িতে প্রায়শই লোকজন আসত বলে জানিয়েছেন বিঘাটির বাসিন্দারা। তবে এর মধ্যে কোনও অস্বাভাবিক কিছু নজরে আসেনি তাঁদের।

Advertisement

ঘটনার কথা জানাজানি হয় বেশ নাটকীয় ভাবে। গত শুক্রবার রাতে অসুস্থ বোধ করায় ওই তরুণী ও আব্দুলকে চন্দননগর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। রক্ত পরীক্ষার পর আব্দুলের ডেঙ্গি ধরা পড়ে। শারীরিক পরীক্ষার জন্য ওই তরুণীকেও হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় শনিবার রাতে তাঁকে হাসপাতালেই রেখে দেন চিকিৎসকেরা। প্রথমে কিছু জানাতে না চাইলেও বার বার জিজ্ঞাসা করায় হাসপাতালের আয়াদের কাছে কান্নায় ভেঙে পড়েন ওই তরুণী। আব্দুল ও সাদ্দাম হোসেন নামে দু’জন তাঁর উপর অত্যাচার চালিয়েছে বলে জানান ওই তরুণী। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে গোটা ঘটনার কথা জানানো হয়। সব কথা শোনার পর হাসপাতালের সুপার শুভদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় গত রাতেই চন্দননগর থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন। এর পরই পুলিশ নির্মলা-সহ সাদ্দাম ও আব্দুলকে গ্রেফতার করে। আব্দুলের ডেঙ্গি থাকায় তাকে হাসপাতালে রাখা হয়েছে।

ধৃতদের এ দিন চন্দননগর আদালতে তোলা হবে। ওই তিন জনকেই নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার জন্য আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। হাসপাতালের সুপার বলেন, “মেয়েটির শারীরিক পরীক্ষা চলছে। ওই তরুণী আপাতত স্থিতিশীল।” পুলিশ জানিয়েছে, ধর্ষণ হয়েছে কি না তা ওই তরুণীর মেডিক্যাল রিপোর্ট হাতে আসার পরই জানা যাবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন