প্রতি বছর রাজ্য সরকার ক্লাবগুলিকে অনুদান দেয়। —ফাইল চিত্র
লোকসভা ভোটের আগে ফের অনুদান পাবে রাজ্যের প্রায় তিন হাজার ক্লাব। এই ক্লাব বেছে দেবেন শাসকদল তৃণমূলের বিধায়কেরাই। নিজেদের কেন্দ্রে নতুন দশটি ক্লাবের নাম সুপারিশ করবেন তাঁরা। যে সব জায়গায় বিরোধী বিধায়ক রয়েছেন, সেখানে জেলা প্রশাসনের মাধ্যমেই ক্লাব বাছাই করা হবে। ক্লাব পিছু ২ লক্ষ টাকার প্রথম কিস্তি দিতে এই প্রকল্পে এখন অতিরিক্ত প্রায় ৩০ কোটি টাকা খরচ হবে।
যতই প্রশ্ন উঠুক, অনুদান বণ্টন নিয়ে পিছোতে রাজি নয় সরকার। বিশেষত ভোটের বছরে। ইতিমধ্যেই নতুন ক্লাবের নাম নথিভুক্ত করার জন্য বিধায়কদের কাছে ক্রীড়া দফতরের নির্দিষ্ট ফর্ম বিলি করা শুরু হয়েছে। ডিসেম্বর-জানুয়ারির মধ্যে সেই তালিকা জমা নিয়ে তা পরীক্ষার কাজ সেরে ফেলা হবে। সব পরিকল্পনামতো এগোলে ফেব্রুয়ারির মধ্যে দফতরের তরফে কেন্দ্রীয় ভাবে এই টাকা বিলির অনুষ্ঠান হওয়ার কথা।
সরকারি সূত্রে খবর, যে সব ক্লাব সরকারের অনুদানের তালিকায় রয়েছে, সেগুলির বকেয়া কিস্তি দেওয়ার কাজও শেষ করা হবে এই সময়ের মধ্যে। ২০১২ সালে শুরু ক্লাবের উন্নয়নে এই ২ লক্ষ টাকা অনুদানের প্রকল্প শুরু করা হয়েছিল। প্রথম পর্যায়ে ৭৮১টি ক্লাবকে নিয়ে শুরু করা হয়। তাতে বরাদ্দ হয়েছিল ১৫ কোটি টাকা। ওই বছরই আরও দেড় হাজার ক্লাব যোগ হয়। তার জন্য বরাদ্দ করা হয় আরও ৪০ কোটি টাকা। দুই কিস্তিতে এই টাকা দেওয়ায় অনেক ক্লাব ইতিমধ্যে তাদের পুরো টাকা পেয়ে গিয়েছে। পরে নতুন করে ক্লাবের সংখ্যা বাড়ায় সরকারি তহবিল থেকে আবার অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। তাই নতুন ৩ হাজার ক্লাবের সঙ্গে কিস্তি বকেয়া রয়েছে, এমন ক্লাবকেও এ বার টাকা দিতে হবে।