এপি-র তোলা ফাইল চিত্র।
চার দিনে চারটি মৃত্যু। আরও দু’জনের খোঁজ মিলছে না। মৃত্যুর ছায়া ক্রমেই গাঢ় হচ্ছে এভারেস্ট অভিযানের উপরে। যদিও এ বছরের অভিযান প্রায় শেষ পর্বে। কিন্তু জয়ের আনন্দকে ম্লান করে দিয়েছে এই মৃত্যুমিছিল।
শৃঙ্গজয় করতে গিয়ে মৃত্যু নতুন কিছু নয়। ১৯৫৩ সালে স্যর এডমন্ড হিলারি ও তেনজিং নোরগের এভারেস্ট জয়ের পরে এখনও পর্যন্ত এই শৃঙ্গে ২৫০ জন অভিযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। ১৯৯০ থেকে প্রতি বছর এভারেস্টের বুকে অন্তত এক জনের মৃত্যু হয়েছে। ১৯৯৬ সালের ১০ মে তুষারঝড়ে আট জন বিদেশি অভিযাত্রীর প্রাণ গিয়েছিল। ২০১৪ সালে তুষারধসে একসঙ্গে ১৬ জন শেরপা প্রাণ হারান। আর নেপালের ভূমিকম্পের জন্য ২০১৫ সালে এভারেস্ট অভিযান বাতিল হয়ে যায়।
চলতি বছরের এপ্রিল থেকে ফের এভারেস্ট অভিযান শুরু হয়। দু’বছর পরে এভারেস্টে পা রাখেন অভিযাত্রীরা। এ বছরে এখনও ৩০০ জন শৃঙ্গে পৌঁছছেন। বেশির ভাগ অভিযাত্রীই এখন ফেরার পথে। আর এই শেষ পর্যায়েই একের পর এক মৃত্যুসংবাদ আসছে।
বৃহস্পতিবার: শৃঙ্গের থেকে মাত্র ১৫০ মিটার দূরে দড়ি লাগানোর সময়ে পড়ে যান ফুর্বা শেরপা। সেখানেই তার মৃত্যু হয়। ফুর্বার বয়স মাত্র ২৫ বছর।
শুক্রবার: শৃঙ্গ ছুঁয়ে ফেরার পথে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় এরিক আর্নল্ডের। আর্নল্ড নেদারল্যান্ডসের অভিযাত্রী।
শনিবার: শৃঙ্গ ছোঁয়া হল না মারিয়া স্ট্রেডমের। চার নম্বর ক্যাম্প থেকে যাত্রা শুরু করেছিলেন। কিন্তু উচ্চতাজনিত অসুস্থতায় আক্রান্ত হয়ে পড়েন অস্ট্রেলিয়ার মোনাস বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষিকা। তাঁকেও বাঁচানো যায়নি। সাতটি মহাদেশের সাতটি উচ্চতম শৃঙ্গজয় করার ইচ্ছে ছিল তাঁর। এর মধ্যেই চড়েছিলেন আর্জেন্টিনার আকোনকাগুয়া, আফ্রিকার কিলিমাঞ্জারো। কিন্তু এভারেস্ট জয় অধরাই থেকে গেল।
রবিবার: মারা গেলেন বাঁকুড়ার পর্বতারোহী সুভাষ পাল। সুনীতা হাজরাকে উদ্ধার করে কাঠমান্ডুতে আনা গেলেও তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। এখনও খোঁজ মেলেনি পরেশচন্দ্র নাথ ও গৌতম ঘোষের। অন্য দিকে, ফ্রস্ট বাইটে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন সীমা গোস্বামী।
এ ছাড়াও প্রায় ৩০ জন অভিযাত্রী নানা কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
আরও পড়ুন