কলেজে ৪৪টি আসনে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের জন্য ৮৮টি ফর্ম তুলেছিল টিএমসিপি। ধরে নেওয়া হয়েছিল, গোষ্ঠী বিবাদ ভুলে শেষ পর্যন্ত আসন পিছু এক জন করেই প্রার্থী দেবে তারা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। জমা পড়েছে ৫০টি মনোনয়ন পত্র। বিপাকে পড়তে হয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষকে। বুধবার ছিল মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। কোন ছাত্রই এদিন মনোনয়ন প্রত্যাহার করেনি। কাজেই এদিন সন্ধ্যায় জরুরি ভিত্তিতে বৈঠক করে কলেজ নির্বাচন কমিটি।
এ দিন সন্ধ্যায় দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করেও তাঁরা সমাধান করতে পারেননি। সমস্যা মেটানোর দায়িত্ব দেওয়া হয় কলেজ পরিচালন সমিতির উপর। আজ, বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটা নাগাদ ইসলামপুর কলেজে সেই বিষয়ে বৈঠক ডেকেছে ইসলামপুর কলেজের পরিচালন সমিতি। ইসলামপুর কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ গৌর ঘোষ বলেন, ‘‘ছাত্ররা প্রতারণা করেছে। ৬টি ফর্ম অতিরিক্ত জমা পড়েছে।’’ তিনি জানান, প্রত্যেক ছাত্রকে মনোয়নয় প্রত্যাহারের জন্য নিজেকে আসতে হবে। বিষয়টি নিয়ে কলেজ পরিচালন সমিতি বৈঠক করবে। গোষ্ঠী কোন্দল মেটাতে সম্প্রতি চোপড়ার বিধায়ক হামিদুল রহমানের উপস্থিতিতে মনোয়নয় পত্র তোলা ও আসন ভাগ করার ব্যবস্থা হয়। সে ক্ষেত্রে প্রাক্তন মন্ত্রী আবদুল করিম চৌধুরীর অনুগামীরা পেয়েছিল ১৮ টি আসন, বিধায়ক হামিদুল অনুগামীদের ১২টি আসন, ইসলামপুরের বিধায়ক কানাইয়ালাল অনুগামীদের ৯ টি ও বাকি ৫টি গোয়ালপোখরের বিধায়ক অনুগামীদের জন্য ভাগ করা হয়েছিল। কিন্তু মনোনয়ন জমা দেওয়ার দিন করিম অনুগামীদের পক্ষ থেকে ৪ টি আসনে বেশি মনোনয়ন জমা করা হয়। হামিদুলের দাবি, ‘‘বিষয়টি নিয়ে আভ্যন্তরীণ আলোচনা চলছে সব কিছু মিটে যাবে।’’ ইসলামপুরের বিধায়ক কানাইয়ালাল অগ্রবাল বলেন, ‘‘ছাত্রদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। কলেজের বিষয়টি সমাধান হয়ে যাবে।’’ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ইসলামপুর টাউন সভাপতি রাহুল সরকার বলেন, ‘‘কলেজে বেশি মনোনয়ন জমা পড়েছিল। কলেজে সেই বিষয়টি নিয়ে বৈঠক হচ্ছে। আশা করা যায় সমস্যা মিটে যাবে।’’