জখম রঞ্জিত কাপড়ি। ছবি: পার্থপ্রতিম দাস।
রাতের অন্ধকারে বাড়িতে ঢুকে পড়েছিল আততায়ী। তার পরে একে একে পরিবারের প্রায় সকলকেই রড, কোদাল, ছুরি দিয়ে আক্রমণ করে সে। রেহাই পায়নি বাড়ির খুদে সদস্যটিও। সাড়ে তিন বছরের ওই শিশুর গালে ছুরির কোপ বসাতেও দ্বিধা করেনি ওই দুষ্কৃতী। রবিবার রাতে এই ঘটনা ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমারের দক্ষিণ হাটগাছিয়া গ্রামে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, হাটগাছিয়াতেই থাকেন শিবশঙ্কর কাপড়ি নামে এক ব্যক্তি। রাতে তিনি স্ত্রী অপর্ণাদেবী ও সাড়ে তিন বছরের ছেলে রঞ্জিতকে নিয়ে শুয়েছিলেন। পাশের ঘরে শুয়েছিলেন তাঁর মা লক্ষ্মীরানিদেবী এবং তাঁদের বাড়ির পরিচারিকা অঞ্জলি। অভিযোগ, রাত একটা নাগাদ শিবশঙ্করবাবু যখন গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন, তখন এক দুষ্কৃতী আচমকাই তাঁর মাথায় কোদালের বাট দিয়ে এলোপাথাড়ি ভাবে মারতে থাকে। চিত্কারে ঘুম ভেঙে যায় অপর্ণাদেবীর। দুষ্কৃতীর হাত থেকে স্বামীকে বাঁচাতে গেলে তাঁকেও বেধড়ক ভাবে মারা হয়। তাঁর মাথা ফেটে যায়। রেহাই পায়নি রঞ্জিতও। তার গালে ছুরি দিয়ে আঘাত করে ওই দুষ্কৃতী। মাথার পিছনে গুরুতর ভাবে চোট পায় বাচ্চাটি।
পাশের দাওয়া থেকে চেঁচামেচি শুনে ঘুম থেকে উঠে বাইরে বেরিয়ে আসেন লক্ষ্মীরানিদেবী। তাঁকে ও অঞ্জলিকে আক্রমণ করা হয়। বাঁশ দিয়ে মারাত্মক ভাবে পেটানো হয় বলে অভিযোগ। সকলকেই গুরুতর ভাবে আহত অবস্থায় তমলুক সদর হাসপাতালে নিয়ে যায় প্রতিবেশীরা। মাথা ফাটে শিবশঙ্করবাবুর। তাঁর মায়ের হাত ভেঙে গিয়েছে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় তমলুক থানার পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তের পর তারা জানিয়েছে, ব্যক্তিগত আক্রোশের জেরেই ওই দুষ্কৃতী আক্রমণ চালিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। আততায়ীর খোঁজ চলছে। যদিও রাতের অন্ধকারে ওই দুষ্কৃতীকে চিনতে পারেননি বলে জানিয়েছেন শিবশঙ্করবাবুরা।
আরও পড়ুন: মেয়ের প্রেমিক নাপসন্দ, বাড়িতে ডেকে গলার নলি কেটে খুন