মঙ্গলবার সারা দিন নিখোঁজ ছিল সে। অবশেষে বুধবার সকালে বাড়ি থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে মিলল কাজল কুমারীর দেহ। চাঁপদানির ডালহৌসি জুটমিলের ৯ নম্বর লেনে তার বাড়ি।
সূত্রের খবর, গতকাল সকাল থেকেই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না বছর সাতেকের কাজলকে। মেয়েটির বাবা স্থানীয় জুটমিলের তাঁতঘরের কর্মী। বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান কাজল। সকাল থেকে তাকে না পেয়ে সকলে মিলে খোঁজা শুরু করেন। কিন্তু পাওয়া যায়নি তাকে। অবশেষে বুধবার সকালে বাড়ির কাছেই একটি খেতে কাজলের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। তাঁরাই পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে ভদ্রেশ্বর থানার পুলিশ। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, কাজলকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে।
কিন্তু হঠাৎ কেন খুন করা হল নিরাপরাধ কাজলকে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক মাস আগে কাজলের বাবা ছোটেলাল রাম তাঁর প্রতিবেশী এবং সহকর্মী হরি ওম নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে সাড়ে ১১ হাজার টাকা ধার নিয়েছিলেন। প্রতি মাসে সেই টাকার সুদও শোধ করতেন তিনি। মিলের তাঁতঘর খুললে হরির টাকা শোধ করে দেওয়ার কথা ছিল ছোটেলালের। তবে কয়েক দিন ধরেই টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য ছোটেলালের ওপর চাপ সৃষ্টি করছিলেন হরি। কিছু দিন আগে ছোটেলালকে ‘বড় ক্ষতি’ করে দেওয়ার হুমকিও দেন তিনি।
তবে কী টাকার জন্যই এ ভাবে নৃশংস ভাবে খুন হতে হল ছোট্ট কাজলকে? হরিকে আটক করে জেরা করছে ভদ্রেশ্বর থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন: অনিন্দ্যের জামিনের আবেদন খারিজ