জখম: হাসপাতালের পথে আহত সাবির মল্লিক। ছবি: বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী।
বালিঘাটের দখল কার হাতে থাকবে, তা নিয়ে দু’দল সমাজবিরোধীর লড়াইয়ে ফের রক্তাক্ত হল বীরভূমের লাভপুর। দরবারপুর গ্রামে বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণে মৃত্যু হল আট জনের।
এ দিন দুপুরে দরবারপুরের বাগদিপাড়ায় ওই বিস্ফোরণ হয়। পুলিশ জানায়, মৃতদের নাম আনোয়ার শেখ (৪২), রমজান শেখ (৪৫), আদু শেখ (৪৮), লালসাদ শেখ (৪৬), হাজিবুর শেখ (৪০), কালো শেখ (৩৫), আসাদুল শেখ (৩৭) এবং জামিরুল শেখ (৪৫)। বীরভূমের পুলিশ সুপার নীলকান্ত সুধীর কুমার বলেন, ‘‘প্রাথমিক তদন্তে জেনেছি, এটা দু’টি দুষ্কৃতী দলের লড়াই। তারই প্রস্তুতি হিসেবে বোমা বাঁধার কাজ চলছিল। হঠাৎ বোমা ফেটে দুর্ঘটনাটি ঘটে।’’ দিন কয়েক আগেই দ্বারকা পঞ্চায়েতের এই দরবারপুর থেকেই তিন ড্রাম ভর্তি শতাধিক তাজা বোমা উদ্ধার করেছিল পুলিশ।
আরও পড়ুন:কুয়োর জলে গেল ফ্রিজ, মোটরবাইক
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রের খবর, ময়ূরাক্ষী নদীর বালি ঘাটের দখলকে কেন্দ্র করে দরবারপুরের শোয়েব আলি এবং মীরবাঁধের আহাদুর শেখের গোষ্ঠীর মধ্যে বিরোধ চলছিল। এ দিন তা চরমে পৌঁছয়। সকাল থেকেই দু’পক্ষের বোমাবাজি শুরু হয়। পুলিশ জেনেছে, স্থানীয় মিনারুল শেখের বাড়ির পিছনে বোমা বাঁধা হচ্ছিল। আচমকাই ঘটে বিস্ফোরণ। শোয়েব, আহাদুর দু’জনেই নিজেদের তৃণমূল কর্মী বলে দাবি করে বিস্ফোরণের দায় পরস্পরের উপরে চাপিয়েছেন।
দলের কোনও ভূমিকা অস্বীকার করে জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের দাবি, সিপিএমের দুষ্কৃতীরাই এলাকা অশান্ত করতে বোমা ছুড়েছে। বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী আবার বলেন, ‘‘লাভপুরে ভয়ঙ্কর ঘটনা। তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষ দিকে দিকে নিরন্তর চলছে। লাভপুরে স্কুলের শিক্ষক, পড়ুয়াদের কার্যত জামিন হিসাবে রেখে সংঘর্ষ চলেছে। বাংলা জ্বলছে। মুখ্যমন্ত্রী অন্য দিকে ব্যস্ত। প্রশাসন বলে আর কিছু নেই।’’