কংগ্রেসের ভরসা গনিই

ভরসা সেই গনিখান চৌধুরী ও গনি পরিবারেই। মালদহ জেলা কংগ্রেসের সভাপতি মোস্তাক আলম বুধবার জেলায় পা রেখেই প্রথমে গনি খানের মাজারেই দোয়া করলেন

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

মালদহ শেষ আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৪:২০
Share:

প্রার্থনা: গনি খানের মাজারে মোস্তাক আলম। বুধবার। নিজস্ব চিত্র

ভরসা সেই গনিখান চৌধুরী ও গনি পরিবারেই। মালদহ জেলা কংগ্রেসের সভাপতি মোস্তাক আলম বুধবার জেলায় পা রেখেই প্রথমে গনি খানের মাজারেই দোয়া করলেন। তারপর কোতোয়ালি হাভেলিতে গিয়ে দেখা করলেন দক্ষিণ মালদহের সাংসদ তথা কোতোয়ালি পরিবারে বর্ষীয়ান সদস্য আবু হাসেম খান চৌধুরীর (ডালু) সঙ্গেও। শুধু তাই নয়, এদিন দুপুরে দলের জেলা কার্যালয় হায়াত ভবনে সেই ডালুবাবুকেই পাশে বসিয়ে তিনি ঘোষণা করলেন, “ডালুবাবু আমাদের অভিভাবক। এবং তাঁর নেতৃত্বেই মালদহ জেলায় দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। লোকসভা ভোটের প্রচারও শুরু করা হবে ডালুবাবুকে সামনে রেখেই।”

Advertisement

যেখানে জেলা সভাপতি হওয়ার মাত্র তিন দিনের ব্যবধানে ডালুবাবুকে সরিয়ে মোস্তাক আলমকে বসানোয় গনি খানের পরিবারের প্রতি এআইসিসি-র আস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে ঠিক সেই সময়েই মোস্তাক ফের সেই গনি পরিবারের দিকেই ঝুঁকলেন।

জেলার রাজনৈতিক মহলের অবশ্য ব্যাখ্যা, জেলায় এখন তৃণমূলের বাড়বাড়ন্ত হলেও গনি খান এখনও অনেক মানুষের মনে জায়গা নিয়ে রয়েছে। গনি পরিবারের প্রতিও তাঁদের ভরসা রয়েছে। ফলে সেই গনি পরিবারের প্রভাবকে বাদ দিয়ে সংগঠন করা সম্ভব নয় বলেই মোস্তাক ঠিক পথেই হেঁটেছেন।

Advertisement

মোস্তাক বলেন, “আমি গনি খান সাহেবের হাত ধরেই রাজনীতি শুরু করেছি। ফলে আমার রাজনৈতিক জীবনে গনি সাহেবের ভূমিকা অনস্বীকার্য। পাশাপাশি ডালুবাবু এখন জেলায় আমাদের দলের বর্ষীয়ান নেতা। ফলে তাঁদের বাদ দিয়ে মালদহ জেলার কংগ্রেসকে ভাবা যাবে না।”

কলকাতা থেকে পদাতিক এক্সপ্রেস ট্রেনে এ দিন ভোরে মালদহে ফেরেন মোস্তাক। প্রথমে চলে যান কোতোয়ালি বাড়িতে। সেখানে গনি খানের মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি দোয়া করেন। পরে কোতোয়ালি হাভেলিতে ঢুকে ডালুবাবুর সঙ্গে কথা বলেন। এরপর মোস্তাক দলীয় নেতৃত্বদের নিয়ে একটি বৈঠক করেন। পরে চলে যান নিজের খাসতালুক হরিশ্চন্দ্রপুরে। সেখানে তাকে ঘিরে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন দলীয় কর্মীরা। শতাধিক বাইকে শোভাযাত্রা করে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় দলীয় কার্যালয়ে। সেখানে তাকে সংবর্ধনাও দেন কর্মীরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন