ভারতীর বিরুদ্ধে এ বার টাকা হাতানোর মামলা

বুধবার মেদিনীপুর সিজেএম কোর্টে রুজু হওয়া মামলায় ভারতী ছাড়াও নাম রয়েছে রাজশেখর পাইন, সুজিত মণ্ডল, চিরঞ্জিৎ ঘোষ নামে আরও তিন জনের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর ও কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৩:৪৬
Share:

ভারতী ঘোষ। —ফাইল চিত্র।

ভারতী ঘোষ ও তাঁর স্বামীর বাড়ি-ফ্ল্যাটে দাসপুরের যে মামলার সূত্রে সিআইডি-তল্লাশি, সেই মামলার অভিযোগপত্রে নাম ছিল না প্রাক্তন আইপিএস অফিসারের। পরে আদালতে দাখিল করা নথিতে ভারতীর নাম জানায় সিআইডি। এ বার লক্ষাধিক টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ভারতীর নামে মেদিনীপুর আদালতে মামলা করলেন ইউনুস আলি মণ্ডল নামে এক ফল ব্যবসায়ী। ২০১৬ সালে একই অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন ইউনুস। পরে সেই মামলা প্রত্যাহার করে নেন তিনি।

Advertisement

বুধবার মেদিনীপুর সিজেএম কোর্টে রুজু হওয়া মামলায় ভারতী ছাড়াও নাম রয়েছে রাজশেখর পাইন, সুজিত মণ্ডল, চিরঞ্জিৎ ঘোষ নামে আরও তিন জনের। রাজশেখর খড়্গপুর লোকাল থানার ওসি ছিলেন। চিরঞ্জিৎ ছিলেন এসআই। আর সুজিত ভারতীর দেহরক্ষী ছিলেন।

বছর দু’য়েক আগে ভারতী-সহ এই চার জনের নামেই হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন উত্তর ২৪ পরগনার স্বরূপনগরের ইউনুস। চাপের কাছে নতিস্বীকার করে মামলা প্রত্যাহার করেন বলে দাবি তাঁর। এত দিন পর ফের মামলা কেন? তাঁর জবাব, ‘‘২০১৬-য় মামলা করার পরে ২০ লক্ষ টাকা ফেরত দেওয়া হয়। মামলা প্রত্যাহার করলে বাকি টাকা ফেরতের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। টাকা ফেরত পাইনি। উল্টে ২০ লক্ষ টাকাও নিয়ে নেওয়া হয়।”

Advertisement

আরও পড়ুন: ফ্ল্যাটে টাকা রাখেন ভারতী-ঘনিষ্ঠ, বলছে সিআইডি

ইউনুসের দাবি, ২০১৬ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর তিনি দাদা সামিদের হাত দিয়ে ঝাড়গ্রামের কয়েকজন ব্যবসায়ীর কাছে ৪৫ লক্ষ টাকা পাঠান। রাতে খড়্গপুরে গাড়ি দুর্ঘটনার মুখে পড়ে। জখম হন সামিদ ও গাড়ির চালক। খবর পেয়ে তিনি খড়্গপুরের এক পরিচিত সাফিককে ফোন করেন। তবে সাফিক পৌঁছনোর আগেই তাঁদের দু’জনকে হাসপাতালে নিয়ে যান টহলরত চিরঞ্জিৎ।

ঘটনার চার দিন পরে ইউনুস শোনেন, পুলিশ সুপারের নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত টাকা ও গাড়ি ছাড়া যাবে না। ইউনুসের দাবি, ভারতীর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি তাঁকে জানান, ৪৫ লক্ষ টাকার উত্স জানতে তদন্তের প্রয়োজন। বেশি বাড়াবাড়ি করলে ভারতী তাঁকে গরু ও নিষিদ্ধ দ্রব্য পাচারের মামলায় ফাঁসানোরও হুমকি দেন বলেও অভিযোগ।

সিআইডির চাপেই ইউনুস ফের মামলা করেছেন বলে দাবি ভারতীর আইনজীবী পিনাকী ভট্টাচার্যের। তিনি বলেন, ‘‘ওই ব্যবসায়ী গরু চালানের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তদন্তে তা উঠে এসেছিল। সিআইডির চাপে প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে উনি মামলা দায়ের করেছেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন