শ্রীনু নায়ডু খুনের ঘটনায় আরও একজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের নাম অরুণ কুমার। বাড়ি খড়্গপুর শহরের নিউ সেটেলমেন্ট এলাকায়। বুধবার রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। বৃহস্পতিবার ধৃতকে মেদিনীপুর সিজেএম আদালতে হাজির করানো হয়েছিল। বিচারক দু’দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিশের দাবি, অরুণও ওই খুনের ঘটনার সঙ্গে যুক্ত। এই নিয়ে শ্রীনু খুনের মামলায় ধৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ১১। বুধবারই শ্রীনু নায়ডু খুনের মামলায় ধৃত তিন জনের টিআই প্যারেড হয়েছিল। মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে এই প্যারেড হয়। কৃষ্ণা রাও, রাধেশ্যাম সিংহ, সঞ্জয় কুমারকে চিনিয়ে পাঁচজন প্রত্যক্ষদর্শী। ধৃত তিনজনকে চিনিয়ে দেওয়ার জন্য যে পাঁচজন এসেছিলেন, তাঁদের মধ্যে ছিলেন শ্রীনুর স্ত্রী পূজা নায়ডুর মা বি মিনাকুমারীও। ছিল সেই দিনের ঘটনায় জখম শ্রীনুর তিন শাগরেদও। ঘটনার পর ওই তিনজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সপ্তাহ কয়েক তারা চিকিৎসাধীন ছিল। বৃহস্পতিবার ওই তিনজনকেও হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। ধৃতদের হেফাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানায় পুলিশ। সেই আবেদন মঞ্জুর হয়। কৃষ্ণা এবং রাধেশ্যামের একদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ হয়। সঞ্জয় কুমারের দু’দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ হয়। পুলিশের বক্তব্য, এই তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন রয়েছে। তদন্তে সহায়ক আরও বেশ কিছু তথ্য উঠে আসতে পারে।
১১ জানুয়ারি বিকেল খড়্গপুরের নিউ সেটলমেন্ট এলাকায় তৃণমূলের ১৮ নম্বর ওয়ার্ড কার্যালয়ে দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হয় শ্রীনু। এই ওয়ার্ডেরই তৃণমূল কাউন্সিলর শ্রীনুর স্ত্রী পূজা। দুষ্কৃতী হামলায় নিহত হয় শ্রীনুর ‘ডানহাত’ ধর্মা রাও। জখম হয় তিনজন। শ্রীনু খুনে এখনও বেশ কয়েকজন পলাতক। তাদের খোঁজে ভিন্ রাজ্যেও তল্লাশি চলছে বলে পুলিশের এক সূত্রে খবর। জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, “ইতিমধ্যেই কিছু সূত্র উঠে এসেছে। সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কিছু মাথার নাম জানা গিয়েছে।’’