New Toto Policy

পশ্চিমবঙ্গে টোটো চলাচলে নতুন নীতি ঘোষণা করে বিজ্ঞপ্তি জারি পরিবহণ দফতরের, রুট নিয়ন্ত্রণ থেকে রাজস্ব আদায়ের পদ্ধতি শুরু

পরিবহণ দফতর সূত্রে খবর, টোটো চালানোর জন্য জেলা স্তরে রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। প্রতিটি গাড়িকে দেওয়া হবে নির্দিষ্ট নম্বর প্লেট, তাতে থাকবে কিউআর কোড। স্ক্যান করলেই বোঝা যাবে নির্দিষ্ট রুটের টোটো অন্য রুটে ঢুকেছে কি না।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১২:৫৮
Share:

জাতীয় ও রাজ্য সড়কে কোনও ভাবেই টোটো চলবে না। পরিবহণ দফতরের তরফে নতুন করে কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। — ফাইল চিত্র।

শারদোৎসবের মুখে টোটো চলাচলের জন্য কঠোর নীতি কার্যকর করল রাজ্য সরকার। পরিবহণ দফতরের প্রকাশিত ১১ পাতার বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এ বার থেকে নির্দিষ্ট রুট ছাড়া আর কোথাও চলতে পারবে না এই তিন চাকার যান। দীর্ঘ দিন ধরেই শহর ও গ্রামাঞ্চলে দেদার টোটো চললেও তা ছিল মূলত নিয়মবহির্ভূত। এ বার প্রশাসন রাশ টানতে উদ্যোগী হয়েছে।

Advertisement

পরিবহণ দফতর সূত্রে খবর, টোটো চালানোর জন্য জেলা স্তরে রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। প্রতিটি গাড়িকে দেওয়া হবে নির্দিষ্ট নম্বর প্লেট, তাতে থাকবে কিউআর কোড। স্ক্যান করলেই বোঝা যাবে নির্দিষ্ট রুটের টোটো অন্য রুটে ঢুকেছে কি না। এক ব্যক্তির নামে একাধিক টোটোর রেজিস্ট্রেশনও বাতিল করে দেওয়া হবে। এত দিন পর্যন্ত টোটো থেকে কোনও রাজস্ব আসত না সরকারের ঘরে। নতুন নির্দেশিকা কার্যকর হলে প্রতি বছর এই যানের জন্য বার্ষিক কর নেওয়া হবে, ফলে রাজস্ব আয়ও বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।

প্রশাসনের হিসাব অনুযায়ী, বর্তমানে রাস্তায় যে টোটোগুলি চলছে, তার অধিকাংশই বেআইনি। এদের বদলে ধীরে ধীরে ই-রিকশা নামানোর জন্য সময় দেওয়া হবে। তবে দফতর জানিয়েছে, তাড়াহুড়ো করে তা কার্যকর করতে তারা রাজি নয়। আগে প্রতিটি পুরসভা ও পঞ্চায়েত ইউনিয়নের সঙ্গে আলোচনায় বসে রুট চিহ্নিত করা হবে। যে রুটে টোটোর সংখ্যা বেশি, সেখানে রোটেশন পদ্ধতিতে চালানোর ব্যবস্থা করা হবে।

Advertisement

যাত্রীনিরাপত্তার স্বার্থে এর আগেও নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল যে, জাতীয় সড়ক, রাজ্য সড়ক ও গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় টোটো, অটো বা রিকশা চলবে না। কিন্তু বাস্তবে তার প্রভাব পড়েনি। এখনও দেদার বেআইনি টোটো-অটো চলাচল করছে, যার ফলে যানজট ও দুর্ঘটনা বাড়ছে। এমনকি পণ্যবাহী গাড়ির গতি শ্লথ হয়ে পরিবহণেরও ক্ষতি হচ্ছে। তাই নতুন করে কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে— জাতীয় ও রাজ্য সড়কে কোনও ভাবেই এই ধরনের তিনচাকা গাড়ি চলবে না।

সাম্প্রতিক বৈঠকে পরিবহণ দফতর, জেলা প্রশাসন, পুরসভা, টোটো সংগঠন ও পুলিশের প্রতিনিধিদের নিয়ে আলোচনা করে রুট নির্ধারণ ও নিয়ন্ত্রণের প্রস্তাব চূড়ান্ত করা হয়। মূল লক্ষ্য যাত্রীসুরক্ষা, যানজট রোধ এবং রাজ্যের বাড়তি রাজস্ব আয়। সরকারের আশা, নতুন নীতি কার্যকর হলে টোটো পরিবহণে শৃঙ্খলা ফিরবে এবং দীর্ঘ দিনের বিশৃঙ্খলার অবসান ঘটবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement