North Dinajpur

Maths Teacher: অঙ্কে মোটে এক জন শিক্ষক, দুর্দশায় স্কুল

রসাখোয়া হাই স্কুলে সে সুযোগ আর পাচ্ছে নাপড়ুয়ারা। শিক্ষকের অভাবে বিজ্ঞান বিভাগই যে চালু করা যাচ্ছে না।

Advertisement

মেহেদি হেদায়েতুল্লা

করণদিঘি শেষ আপডেট: ২১ জুলাই ২০২২ ০৬:৫৬
Share:

প্রতীকী ছবি।

এ যেন এক নেই-রাজ্যের স্কুল।

Advertisement

পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণি, ছ’টি ক্লাসের জন্য অঙ্কের শিক্ষক মোটে এক জন। কখনও ইংরেজি, কখনও বাংলার শিক্ষককে দিয়ে সেই ক্লাস সামাল দিতে হচ্ছে। বিজ্ঞান পড়াচ্ছেন মোটে দু’জন শিক্ষক। একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে বাংলা, সংস্কৃত, দর্শন ও ভূগোলের কোনও শিক্ষকই নেই। শিক্ষকের অভাবে চালু করা যায়নি বিজ্ঞান বিভাগ। উত্তর দিনাজপুরের করণদিঘিতে রসাখোলা হাই স্কুলের এমনই অবস্থা। বামপন্থী শিক্ষক সংগঠন দাবি করেছে, দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষক নিয়োগ হচ্ছে না, তারই ফল ভুগছে এই স্কুলটিও।

স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত সব মিলিয়ে সাড়ে পাঁচ হাজার ছাত্রছাত্রী পড়ে এই স্কুলে। কিন্তু শিক্ষক সংখ্যা মাত্র ২৬ জন। অর্থাৎ, ২১১ জন পড়ুয়ায় এক জন শিক্ষক। এই অবস্থায় যা হওয়ার, সেটাই হচ্ছে রসাখোয়া হাই স্কুলে। অনেক ক্লাসই ফাঁকা পড়ে থাকছে। বিশেষ করে অঙ্ক ক্লাস। স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, সব মিলিয়ে কমবেশি ৫২ জন শিক্ষকের পদ শূন্য। এর মধ্যে ‘উৎসশ্রী’ প্রকল্পে চার জন শিক্ষক বদলি হয়ে গেলেও তাঁদের বদলে এসেছেন মোটে এক জন শিক্ষক। স্কুলের দাবি, বারবার আবেদন করেও শিক্ষক মেলেনি।

Advertisement

স্কুলের প্রধান শিক্ষক অরুণকুমার ঘোষ বলেন, ‘‘একজন অঙ্কের শিক্ষককে দিয়ে স্কুল চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে। শিক্ষকের অভাবেউচ্চ মাধ্যমিকে বিজ্ঞান বিভাগ চালু করা হয়নি।’’

একমাত্র অঙ্ক শিক্ষক দিলীপ বর্মণ বলেন, ‘‘একার পক্ষে তো এতগুলো ক্লাস করা সম্ভব নয়।’’ স্কুলের শিক্ষকদের একাংশের বক্তব্য, পর্যাপ্ত বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক থাকলে তবেই স্কুলে পড়ানোর মান বাড়ানো সম্ভব। রাজ্য শিক্ষা দফতর নির্দেশ দিয়েছে, মাধ্যমিকে ৩৫ শতাংশের উপরে নম্বর পেলেই পড়ুয়ারা বিজ্ঞান নিয়ে পড়তে পারে। কিন্তু রসাখোয়া হাই স্কুলে সে সুযোগ আর পাচ্ছে নাপড়ুয়ারা। শিক্ষকের অভাবে বিজ্ঞান বিভাগই যে চালু করা যাচ্ছে না। স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, শিক্ষকের অভাব আছে কলা বিভাগেও।

সিপিএমের শিক্ষক সংগঠন এবিটিএ পুরো বিষয়টির জন্য দায়ী করেছে নিয়োগ-সঙ্কটকে। এবিটিএ-র উত্তর দিনাজপুর জেলা সম্পাদক বিপুল মৈত্র বলেন, ‘‘কয়েক বছর ধরে শিক্ষক নিয়োগ হচ্ছে না। তার ফল ভুগতে হচ্ছে পড়ুয়াদের এবং স্কুলগুলিকে।’’

তৃণমূলের শিক্ষক সংগঠনের করণদিঘির ব্লকের সভাপতি প্রেম গোস্বামী বলেন, ‘‘এ বিষয়ে শিক্ষা দফতর উদ্যোগী হয়েছে। আশা করছি সমস্যার সমাধান হবে।’’ জেলাস্কুল পরিদর্শক দীপক কুমার ভক্ত বলেন, ‘‘সমস্যার কথা উপর মহলে জানানো হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন