Firecracker Factories

৪২ কেজি বাজি উদ্ধার বজবজে, স্থানীয়দের ‘বাধা’

পুলিশ সূত্রের খবর, এ দিন ওই অভিযানে বিপুল পরিমাণ বাজি উদ্ধার হয়। তল্লাশির খবর ছড়িয়ে পড়তেই জড়ো হতে থাকেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩১ অগস্ট ২০২৩ ০৬:০৪
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুরে একটি বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের পরে বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয়েছে তল্লাশি অভিযান। ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলা সূত্রের খবর, বুধবার দুপুরে এমনই একটি অভিযান চালানো হয় দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজ থানার পুটখালি খাঁ পাড়ায়। সেখানেই স্থানীয় বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল।

Advertisement

পুলিশ সূত্রের খবর, এ দিন ওই অভিযানে বিপুল পরিমাণ বাজি উদ্ধার হয়। তল্লাশির খবর ছড়িয়ে পড়তেই জড়ো হতে থাকেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অভিযোগ, পুলিশের সামনেই আত্মহত্যা করার হুমকি দেওয়ার পাশাপাশি, বার বার তল্লাশি কেন করা হচ্ছে, তা জানতে চাওয়া হয় তাঁদের তরফে। স্থানীয় বাজি ব্যবসায়ীদের দাবি, তাঁরা সেখানে কোনও রকম নিষিদ্ধ বাজি তৈরি করেন না। তিন মাস ধরে সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে বাজি উৎপাদন এবং বিক্রি। এর পরেও যদি পুলিশ তল্লাশি অভিযানের নামে তাঁদের মজুত করে রাখা বাজি নিয়ে চলে যায়, সে ক্ষেত্রে ঋণ করে এই ব্যবসা চালানো তাঁদের পক্ষে আর সম্ভব হবে না বলে দাবি ব্যবসায়ীদের।

তবে ডায়মন্ড হারবার পুলিশের দাবি, সেখানে একটি ক্লাস্টার তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। শীঘ্রই সেটি বাস্তবায়িত হবে। ক্লাস্টারের নিয়ম মেনে চলা লাইসেন্সপ্রাপ্ত বাজি ব্যবসায়ীদের কারখানায় কোনও তল্লাশি অভিযান চালানো হয়নি। এমনকি, পরিবেশবান্ধব আতশবাজি যাঁরা বিক্রি করছেন, তাঁদের দোকানেও তল্লাশি চালায়নি পুলিশ। তল্লাশি চলেছে বেআইনি বাজি ব্যবসায়ীদের গুদামেই। বাজেয়াপ্ত হয়েছে ৪২ কেজি বাজি।

Advertisement

পুলিশ জেলা সূত্রে দাবি করা হয়েছে, প্রতিনিয়ত এলাকায় নজরদারি চালানো হচ্ছে। বজবজ-মহেশতলায় বাজি তৈরির জন্য পরিচিত প্রতিটি এলাকায় বর্তমানে টহলদারি চলছে নিয়মিত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন