TMC Leader Murder

বিষ্ণুপুরের নেতাকে খুনে জলপাইগুড়ির যুবক ধৃত

গত ১৯ ফেব্রুয়ারি বিষ্ণুপুর থানা এলাকার আঁধারমানিক গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল বুথ সভাপতি সাধন মণ্ডল একটি চায়ের দোকানে বসে ছিলেন। তখন কয়েক জন দুষ্কৃতী বাইকে করে এসে তাঁকে পর পর গুলি করে বলে অভিযোগ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ০৫ মার্চ ২০২৩ ০৭:১৮
Share:

এক তৃণমূল নেতাকে গুলি করে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হল জলপাইগুড়ির এক যুবককে। প্রতীকী ছবি।

দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুরের এক তৃণমূল নেতাকে গুলি করে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হল জলপাইগুড়ির এক যুবককে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম উজ্জ্বল সরকার। সে সদর ব্লকের ভুজারিপাড়ার বাসিন্দা। সে গ্রামে একটি প্রাথমিক স্কুল চালাত। শনিবার ধৃতকে জেলা আদালতের সিজেএম (চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট) কোর্টে তোলার পরে তিন দিনের ট্রানজ়িট রিমান্ডে নিয়ে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দিয়েছে বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ। সূত্রের দাবি, ধৃতের বিরুদ্ধে একাধিক অপরাধমূলক কাজের অভিযোগ রয়েছে। আগেও জেল খেটেছে সে।

Advertisement

গত ১৯ ফেব্রুয়ারি বিষ্ণুপুর থানা এলাকার আঁধারমানিক গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল বুথ সভাপতি সাধন মণ্ডল একটি চায়ের দোকানে বসে ছিলেন। তখন কয়েক জন দুষ্কৃতী বাইকে করে এসে তাঁকে পর পর গুলি করে বলে অভিযোগ। কিছু ক্ষণের মধ্যেই মৃত্যু হয় ওই নেতার। পুলিশ প্রথমে তিন জনকে আটক করে। পরে দু’জনকে গ্রেফতারও করা হয়। ধৃতদের জেরা করে পুলিশ জানতে পারে, ওই খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত জলপাইগুড়ির বাসিন্দা উজ্জ্বল।

এর পরে মোবাইলের সূত্র ধরে উজ্জ্বলের খোঁজ পায় পুলিশ। শুক্রবার রাতে কোতোয়ালি থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে উজ্জ্বলের বাড়ি ঘিরে ফেলে বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ। বাড়ি থেকেই তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে খুনের ষড়যন্ত্র ও খুন করার অভিযোগে মামলা করা হয়েছে।

Advertisement

তদন্তে পুলিশ জেনেছে, ২০১০ সালে মাওবাদী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিল উজ্জ্বল। তখন সে তিন বছর জেলে ছিল। টাকার বিনিময়ে উজ্জ্বল এই খুন করেছে বলে অনুমান পুলিশের। জলপাইগুড়ি জেলা আদালতের সহকারী সরকারি আইনজীবী মৃন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ৭ মার্চের মধ্যে ধৃতকে আলিপুরের এসিজেএম কোর্টে তোলার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক শৈবাল দত্ত। মৃন্ময়ের দাবি, ‘‘ভাড়াটে খুনি হিসাবে কাজ করেছে উজ্জ্বল। তাই তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।’’

শাসক দলের নেতাদের একাংশের দাবি, এই খুনের ঘটনার সঙ্গে বিরোধীদের যুক্ত থাকার আশঙ্কা রয়েছে। যদিও সেই অভিযোগ উড়িয়ে বিরোধীদের পাল্টা দাবি, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই এই হত্যাকাণ্ড।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন