ইউসুফ সন্দেহে নেপাল সীমান্তে আটক যুবক

খাগড়াগড় কাণ্ডের অন্যতম মূল চক্রী শেখ ইউসুফ সন্দেহে নেপাল সীমান্তের কাঁকড়ভিটা থেকে এক যুবককে আটক করেছেন গোয়েন্দারা। তবে সে আদৌ ইউসুফ কি না, তা নিয়ে সংশয় সোমবার রাত পর্যন্তও কাটেনি। নিশ্চিত হওয়ার জন্য ওই যুবককে দফায় দফায় জেরা করছেন কেন্দ্র ও রাজ্য গোয়েন্দা শাখার কর্তারা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ অক্টোবর ২০১৪ ০২:৫০
Share:

খাগড়াগড় কাণ্ডের অন্যতম মূল চক্রী শেখ ইউসুফ সন্দেহে নেপাল সীমান্তের কাঁকড়ভিটা থেকে এক যুবককে আটক করেছেন গোয়েন্দারা। তবে সে আদৌ ইউসুফ কি না, তা নিয়ে সংশয় সোমবার রাত পর্যন্তও কাটেনি। নিশ্চিত হওয়ার জন্য ওই যুবককে দফায় দফায় জেরা করছেন কেন্দ্র ও রাজ্য গোয়েন্দা শাখার কর্তারা।

Advertisement

গোয়েন্দাদের একটি সূত্রের মতে, ওই যুবকের সঙ্গে ইউসুফের কিছু মিল রয়েছে। ইউসুফ উত্তরবঙ্গের নেপাল সীমান্তের কাছে ঘাঁটি গেড়েছে বলে খবরও পেয়েছিলেন গোয়েন্দারা। সেই মতো কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের একটি দল উত্তরবঙ্গের নানা জায়গায় হানা দেয়। তার পর কাঁকড়ভিটা থেকে ওই যুবককে আটক করে তারা।

গোয়েন্দা সূত্রের খবর, কাঁকড়ভিটা এলাকায় দীর্ঘদিন ধরেই বিভিন্ন জঙ্গি নেটওয়ার্ক সক্রিয় রয়েছে। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এই সীমান্ত দিয়ে অবাধে লোক যাতায়াত করে। এক সময় এই এলাকা থেকেই গ্রেফতার করা হয়েছিল টম অধিকারী-সহ একাধিক কেএলও জঙ্গিকে। গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, ইউসুফের সঙ্গে ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের (আইএম) যোগসূত্র রয়েছে। তাঁরা বলছেন, নেপালেও আইএম-এর কিছু শাখা সক্রিয় রয়েছে। গত বছর বিহার-নেপাল সীমান্ত থেকেই গ্রেফতার করা হয়েছিল আইএম-এর অন্যতম শীর্ষ নেতা ইয়াসিন ভটকলকে।

Advertisement

খাগড়াগড় কাণ্ডের তদন্তে নেমে আলিমা ও রাজিয়া বিবিকে জেরা করে শিমুলিয়া মাদ্রাসার কথা জানতে পারেন গোয়েন্দারা। উঠে আসে মাদ্রাসার আড়ালে জঙ্গি প্রশিক্ষণের কথাও। গোয়েন্দা সূত্রের দাবি, ওই মাদ্রাসায় জঙ্গি ও অস্ত্র প্রশিক্ষণের মূল দায়িত্ব ছিল ইউসুফের উপরেই। আর শিমুলিয়া মাদ্রাসায় মহিলা জঙ্গি বাহিনী গড়ে তোলার যে কাজ শুরু হয়েছিল, তার প্রশিক্ষণের দায়িত্বে ছিল ইউসুফের স্ত্রী। তদন্তকারীরা জেনেছেন, ইউসুফ চার বছর উত্তরপ্রদেশের আজমগড়ে ছিল। সেখানে আইএম-এর আজমগড় মডিউলে অস্ত্র ও ধর্মশিক্ষার প্রশিক্ষণ নিয়েছিল সে।

এনআইএ গোয়েন্দাদের ধারণা, আজমগড় থেকে অস্ত্র ও জঙ্গি কার্যকলাপের প্রশিক্ষণ নেওয়ার পরে বর্ধমানে ফেরে ইউসুফ। আজমগড়ের ধাঁচেই বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া ও বীরভূমের বেশ কয়েকটি এলাকায় মাদ্রাসাকে ঘিরে জঙ্গি ঘাঁটি এবং প্রশিক্ষণ শিবির তৈরির কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে শুরু করে।

গোয়েন্দা সূত্রের খবর, ২ অক্টোবর খাগড়াগড়ে বিস্ফোরণ হয়েছিল। ৮ অক্টোবর পর্যন্ত তার মোবাইল টাওয়ারে দেখাচ্ছিল, মুর্শিদাবাদের বেলডাঙার আশপাশে আছে ফোনটি। তার পর থেকেই বেপাত্তা হয়ে যায় সে। দিন কয়েক আগে উত্তরবঙ্গে ইউসুফের ডেরার কথা জানতে পারে। সেই মতো কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের একটি দল উত্তরবঙ্গে হানা দেয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন