Death

নিষিদ্ধ শব্দবাজি ফেটে মৃত যুবক

মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ ফরাক্কার ফিডার ক্যানালের পাশে পল্লব কয়েক জন বন্ধুকে নিয়ে বড় পেঁয়াজের মতো আকারের বেশ শক্তিশালী শব্দবাজি ফাটাতে শুরু করেছিলেন।

Advertisement

বিমান হাজরা

ফরাক্কা শেষ আপডেট: ২৭ অক্টোবর ২০২২ ০৬:০৭
Share:

প্রতীকী ছবি।

বজ্র আঁটুনি ফস্কা গেরো।

Advertisement

ফরাক্কা ও লাগোয়া শমসেরগঞ্জে শব্দবাজি রুখতে অভিযান চলেছে বলে দাবি করেছিল পুলিশ। কিন্তু তাতে যে সাধারণ মানুষের হাতে অতি শক্তিশালী শব্দবাজি আসা রোখা যায়নি, তার প্রমাণ মিলল ফরাক্কার আঁকুড়া গ্রামে পল্লব সরকার (৩০) নামে এক যুবকের মৃত্যুতে।

মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ ফরাক্কার ফিডার ক্যানালের পাশে পল্লব কয়েক জন বন্ধুকে নিয়ে বড় পেঁয়াজের মতো আকারের বেশ শক্তিশালী শব্দবাজি ফাটাতে শুরু করেছিলেন। ওই বাজির স্থানীয় নাম ‘অ্যাটম বোমা’। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে, ওই বাজিটির উপরে একটি স্টিলের ঘটি চাপা দেওয়া হয়েছিল, যাতে আওয়াজ আরও বাড়ে। এ ভাবে দু’বার বাজি ফাটানো হয়। তৃতীয় বারে ওই ঘটিটি খণ্ড খণ্ড হয়ে পল্লবের গলায়, নাকে লাগে। গলার নলি কেটে যায়। ফরাক্কা থানার আইসি বলেন, ‘‘ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই যুবকের। এই ঘটনায় তাঁর দশ বন্ধুকে রাতেই গ্রেফতার করা হয়েছে।”

Advertisement

এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে পুলিশের নজরদারি নিয়ে। এত শক্তিশালী বাজি এলাকায় এল কী করে? পুলিশের সন্দেহ, ঝাড়খণ্ড থেকেই আনা হয়েছে এই নিষিদ্ধ বাজি। ঝাড়খণ্ড থেকে ফরাক্কা আসার একাধিক পথ রয়েছে। এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, বেওয়া সেতু পেরিয়ে ঝাড়খণ্ডে যানবাহনের যাতায়াত অবারিত। এলাকার মানুষেরই দাবি, মাঝে মধ্যে নাকা চেকিং ছাড়া সেই অর্থে পুলিশি নজরদারি সে পথে নেই। ঝাড়খণ্ড থেকে চাঁদপুর হয়ে ফরাক্কার আঁকুড়ায় যাতায়াত আরও সহজ।

তা হলে পুলিশের এত নজরদারির দাবির কী হল? ফরাক্কার এসডিপিও অসীম খান বলেন, ‘‘প্রধান পথগুলি ছাড়াও ঝাড়খণ্ড থেকে ফরাক্কা ও শমসেরগঞ্জে আসার অনেক ছোট গ্রামীণ পথ আছে। সেই সব পথে সর্বক্ষণ নজরদারি রাখা কার্যত অসম্ভব।’’ পুলিশের আরও দাবি, শব্দবাজি নিয়ে তাদের কাছে কোনও অভিযোগ আসেনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন