অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: সংগৃহীত।
নয়া জিএসটি কাঠামো নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, এতে দেশে ‘সাশ্রয় উৎসবের’ সূচনা হতে চলেছে। তা হলে কি এত দিন জিএসটি ‘লুট উৎসব’ চলেছে? এই প্রশ্নই তুললেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদের কটাক্ষ, গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির আসনসংখ্যা ২৪০-এ নেমে গিয়েছে বলেই দেশে জিএসটি কমেছে। অভিষেকের কথায়, ‘‘বিজেপি হারলে জিএসটি কমবে। বিজেপি জিতলে জিএসটি বাড়বে।’’
সোমবার থেকে দেশে কার্যকর হচ্ছে নতুন পণ্য ও পরিষেবা কর বা জিএসটি ২.০। মহালয়ার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এতে জিনিসের দাম কমার পাশাপাশি গরিব ও মধ্যবিত্তের সঞ্চয় বাড়বে। নতুন সুযোগ তৈরি হবে, যার ফয়দা পাবে যুবসমাজ। সামগ্রিক ভাবে অর্থনীতিও গতি পাবে।
তা নিয়েই কটাক্ষ করলেন অভিষেক। তাঁর বক্তব্য, ভোটে মানুষ বিজেপিকে প্রত্যাখ্যান করেছে। এখন উপায় নেই দেখেই জিএসটি কমাতে হচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারকে। ভবিষ্যতে আরও কমাতে হবে। অভিষেক বলেন, ‘‘বিজেপির কোনও দায়িত্ববোধ নেই। নোটবন্দির সময় কী হয়েছে, তা আমরা জানি। পহেলগাঁওয়ের সময় বলেছিল, রক্ত আর জল একসঙ্গে বইতে পারে না। এখন তা হলে পাকিস্তানের সঙ্গে ক্রিকেট ম্যাচ কী করে খেলল ভারত?’’ প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে তৃণমূল সাংসদের প্রশ্ন, ‘‘কর বাবদ বাংলা থেকে কত টাকা নিয়ে গিয়েছেন? আর কত টাকা দিয়েছেন বাংলাকে?’’
রবিবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর জাতির উদ্দেশে ভাষণ নিয়ে দক্ষিণ কলকাতার ৯৫ পল্লীর দুর্গাপুজোর উদ্বোধনী মঞ্চ থেকে নাম না-করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাল্টা কটাক্ষ করে বলেছিলেন, “জিএসটি নিয়ে কেউ কেউ বড় বড় ভাষণ দিচ্ছেন। এই যে বিমার (স্বাস্থ্য বিমা) থেকে টাকা, জিএসটি কমানো বা না থাকা, এটা আমি প্রথম চিঠি লিখে দাবি জানিয়েছিলাম। এই সবের জন্য যাঁরা ভাষণ দিচ্ছেন, তাঁদের নয়, কৃতিত্ব হল রাজ্যের। কেন্দ্রীয় সরকারের ভাষণ দেওয়া ছাড়া কোনও কৃতিত্ব নেই।... সাধারণ মানুষের কাজটা হচ্ছে। এতেই আমি খুশি। এর জন্য রাজ্যকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়নি। বিজেপির রাজ্যগুলিতে ঘুরিয়ে টাকা দেবে।”