রথকে কটাক্ষ অভিষেকের

সোমবার ফালাকাটায় ব্রিগেডের প্রস্তুতি সভা ছিল। জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ার দুই জেলার তৃণমূল নেতা-কর্মীদের নিয়ে সভা ছিল। সেখানে অভিষেক বুথ থেকে ব্লক স্তর পর্যন্ত কর্মীদের নিয়ে কমিটি গড়ার নির্দেশ দেন। সেই কমিটির কাজ কী হবে, তা-ও জানিয়ে দেন তিনি। সাংসদ বলেন, “বুথ থেকে ব্লক পর্যন্ত বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেসকে মুছে দিতে হবে।”

Advertisement

অনির্বাণ রায়

ফালাকাটা শেষ আপডেট: ০৮ জানুয়ারি ২০১৯ ০১:৪১
Share:

নেতা: ফালাকাটায় দলীয় মঞ্চে অভিষেক। নিজস্ব চিত্র

রাজ্য স্তরে ভোটবাক্সে বিজেপির সঙ্গে কংগ্রেস এবং সিপিএমকেও ‘মুছে’ দেওয়ার নির্দেশ দিলেন যুব তৃণমূল সভাপতি তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

সোমবার ফালাকাটায় ব্রিগেডের প্রস্তুতি সভা ছিল। জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ার দুই জেলার তৃণমূল নেতা-কর্মীদের নিয়ে সভা ছিল। সেখানে অভিষেক বুথ থেকে ব্লক স্তর পর্যন্ত কর্মীদের নিয়ে কমিটি গড়ার নির্দেশ দেন। সেই কমিটির কাজ কী হবে, তা-ও জানিয়ে দেন তিনি। সাংসদ বলেন, “বুথ থেকে ব্লক পর্যন্ত বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেসকে মুছে দিতে হবে।”

ব্রিগেডে যে অন্যান্য রাজ্যের বিজেপি বিরোধী দলের মুখ্যমন্ত্রী থেকে নেতারা থাকবেন, তা-ও অভিষেক জানিয়েছেন। অখিলেশ যাবদ, তেস্বসী প্রসাদ থেকে অরবিন্দ কেজরীবালের নামও এ দিন উল্লেখ করেন তিনি। বিজেপি বিরোধী জোটে বাম, কংগ্রেসকে তৃণমূল রাখবে কিনা তা নিয়ে দলের অন্দরেই নানা জল্পনা চলছিল। এ দিন অভিষেক কথায় স্পষ্ট, আপাতত মমতার ঘোষণামতো রাজ্যে একলা চলাতেই আগ্রহী তৃণমূল। যদিও দলের এক নেতার কথায়, “এখনও লোকসভা ভোটের ঢের দেরি। এখন বিজেপি বিরোধী জোটে বাম-ডান সকলকে সামিল করা হবে বলে দিলে হিতে বিপরীত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।”

Advertisement

বিজেপির রথ নিয়েও কটাক্ষ করেছেন অভিষেক। তৃণমূল লাগাতার অভিযোগ করে আসছে, ধর্মীয় আবেগ উস্কে দিতেই বিজেপি রথযাত্রা নাম দিয়ে রাজনৈতিক প্রচার চালাচ্ছে। এই রথ নিয়ে হাইকোর্টে মামলাতেও রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়, যাত্রা নিয়ে সাম্প্রদায়িক অশান্তির আশঙ্কা রয়েছে।

এ দিন বিজেপিকে রথ নিয়ে আক্রমণ করতে অভিষেক ‘হিন্দু আবেগ’ ছুঁয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন বলে দলের নেতারা মনে করছেন। অভিষেক বলেন, “আমরা জানি, জগন্নাথ দেব, মদনমোহন দেব রথে চড়েন। হিন্দুদের রথ কাঠের হয়, দড়ি দিয়ে টানতে হয়। কিন্তু বিজেপি বিলাসবহুল একটি বাসকে রথ বলে চালাতে চাইছেন। গাধাকে ঘোড়া বানাতে চাইছে।” রথে কী কী রয়েছে তার বর্ণনাও দিয়েছেন সাংসদ। তিনি বলেন, “রথে স্নান করা যায়, মল-মূত্র ত্যাগ করার জায়গা রয়েছে। ছাইপাশ খাওয়ারও জায়গা রয়েছে। এ রথ নয়।”

বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি দেবাশিস চক্রবর্তীর পাল্টা দাবি, “তৃণমূল নেতাদের কথা শুনেই বোঝা যাচ্ছে, ওঁরা বিজেপিকে বড্ড ভয় পাচ্ছেন।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন