এ বার ৩১-এ ৩১! কুলতলির জনসভা থেকে হুঙ্কার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের

গত বিধানসভা ভোটে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ২টি বিধানসভা আসন হাতছাড়া হয়েছিল তৃণমূলের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কুলতলি শেষ আপডেট: ২৪ জানুয়ারি ২০২১ ১৫:২৫
Share:

কুলতলিতে সভায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: ফেসবুক

একুশের বিধানসভা ভোটে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ৩১টি আসনেই জয় চাইলেন তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার কুলতলির জনসভা থেকে তিনি বলেন, ‘‘আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। এই জেলা থেকে ৩১টি আসনই তুলে দিতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে। ৩১-এ-৩১ করতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যাতে একটি আসনও সিপিএম, বিজেপি কিংবা কংগ্রেসের হাতে না যায়।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘গত বিধানসভা ভোটেও এই জেলার ৩১টির মধ্যে ২৯টি আসন জিতেছিল তৃণমূল। এই কুলতলি বিধানসভাতে সিপিএম জিতেছিল। কিন্তু ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে সাড়ে আট-নয় হাজারে তৃণমূল জিতেছে। সেই ধারা আমাদের অব্যাহত রাখতে হবে।’’

Advertisement

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার যাদবপুর ও কুলতলি আসনে জিতেছিল সিপিএম। সিপিএমের পক্ষে যাদবপুরে সুজন চক্রবর্তী ও কুলতলিতে রামশঙ্কর হালদার জয়ী হন। কিন্তু গত লোকসভা ভোটে ৩১টি আসনেই এগিয়েছিল তৃণমূল প্রার্থীরা। উনিশের ভোটে যাদবপুর বিধানসভায় তৃণমূল প্রার্থী অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী ৩১,৯৭৪ ভোটে এগিয়েছিলেন। কুলতলি থেকে জয়নগরের সাংসদ এগিয়েছিলেন ৮,৪১১ ভোটে। রাজ্য রাজনীতির ভোট মানচিত্রে দক্ষিণ ২৪ পরগনাই এখন তৃণমূলের অটুট গড়। যেখানে এখনও দাগ কাটতে পারেনি বিজেপি। তাই তৃণমূল নেতৃত্ব এই জেলা থেকে ৩১টি আসনেই জয় নিশ্চিত করতে চাইছে। এদিন কার্যত সেকথা উঠে এসেছে অভিষেকের বক্তৃতায়। এ প্রসঙ্গে অবশ্য বিজেপি নেতৃত্বের কটাক্ষ, লড়াইয়ের ময়দানে দেখা হবে। এত তাড়াতাড়ি ফলাফল ঘোষণা করা উচিত হবে না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন