Abhishek Banerjee

‘বাংলায় পা না-রেখেই পিছনের দরজা দিয়ে এনআরসি করার ঔদ্ধত্য দেখাচ্ছে বিজেপি’! মমতার পর আক্রমণে অভিষেক

অভিষেক আরও জানিয়েছেন, এটা এখন আর শুধু রাজনৈতিক যুদ্ধ নয়। দেশের সংবিধানের গণতন্ত্র, বহুত্ববাদকে বাঁচিয়ে রাখার লড়াই।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৫ ২৩:৩৭
Share:

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। — ফাইল চিত্র।

মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুরেই এ বার বিজেপিকে আক্রমণ করলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি মঙ্গলবার সমাজমাধ্যমে পোস্ট দিয়ে জানালেন, পিছনের দরজা দিয়ে পশ্চিমবঙ্গে জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) চালু করতে চাইছে বিজেপি। এই রাজ্যে বিজেপির পাশে কোনও জনাদেশ নেই। রাজ্যকে শাসন করার ‘নৈতিক অধিকার’ও তাদের নেই। তাতেই এ রকম ‘ঔদ্ধত্য’ দেখাচ্ছে বিজেপি। অভিষেকের প্রশ্ন, কোনও ভাবে তাদের হাতে ক্ষমতা এলে কী করবে! তিনি এ-ও জানিয়েছেন, বাংলা নতিস্বীকার করবে না। প্রতিরোধ করবে।

Advertisement

অভিষেক এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্টে লিখেছেন, ‘‘এটা আর কিছুই নয়, বাংলায় পিছনের দরজা দিয়ে এনআরসি চালু করতে চায় বিজেপি, যে রাজ্যে তাদের সঙ্গে কোনও জনাদেশ নেই, শাসন করার নৈতিক অধিকার নেই। ভয়, নিরাপত্তাহীনতা তৈরি করার জন্য বাংলাভাষী নাগরিকদের নিশানা করছে ওরা। অসমে ডিটেনশন ক্যাম্পের মডেল অনুসরণ করে এ সব করছে।’’ তিনি আরও লেখেন, ‘‘বাংলায় পা না রেখেই যদি বিজেপি এ রকম ঔদ্ধত্য দেখায়, তা হলে কখনও যদি ক্ষমতা পায়, কী সহ্য করতে হবে, তা বোঝাই যাচ্ছে!’’ অভিষেক আরও জানিয়েছেন, এটা এখন আর শুধু রাজনৈতিক যুদ্ধ নয়। দেশের সংবিধানের গণতন্ত্র, বহুত্ববাদকে বাঁচিয়ে রাখার লড়াই। বিজেপির এই ‘মানববিরোধী’ কাজ সফল হতে দেওয়া হবে না। তাঁর কথায়, ‘‘বাংলা প্রতিরোধ করবে। বাংলা নতিস্বীকার করবে না।’’

মমতা এই বিষয়ে মঙ্গলবার সকালে সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট দেন। তিনি লেখেন, ‘‘এটি আমাদের গণতন্ত্রের উপর একটি পরিকল্পিত আক্রমণ ছাড়া আর কিছুই নয়। এটিই প্রমাণ করে যে অসমে ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে, যেখানে তাদের কোনও ক্ষমতা বা অধিকার নেই।’’ প্রসঙ্গত, তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ তথা পরিযায়ী শ্রমিক কল্যাণ বোর্ডের চেয়ারম্যান সামিরুল ইসলাম সমাজমাধ্যমে একটি পোস্টে অভিযোগ করেন, কোচবিহারের বাসিন্দা উত্তমকুমার ব্রজবাসীকে এনআরসি নোটিস পাঠিয়েছে অসমের বিজেপি সরকার। সামিরুল নথি তুলে ধরে জানান, ১৯৬৬ সালে প্রথম ভোটার তালিকায় নাম নথিভুক্ত হয়েছিল উত্তমের। তার পরেও কী ভাবে অসম সরকার ওই ব্যক্তিকে এনআরসির নোটিস পাঠাল, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। এর পরেই সরব হন মমতা। তিনি মঙ্গলবার পোস্ট দিয়ে লেখেন, ‘‘গত ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি এই বাংলার বাসিন্দা। তাঁর বৈধ পরিচয়পত্র থাকা সত্ত্বেও, তাঁকে ‘বিদেশি/ অবৈধ অনুপ্রবেশকারী’ সন্দেহে হয়রান করা হচ্ছে।’’ এ বার বিজেপিকে আক্রমণ করলেন অভিষেকও।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement