Dengue

দেড় লাখ থেকে নিমেষে ৩৩ হাজারে প্লেটলেট, মৃত্যু ছোট্ট আবির্ভাবের

ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে ন’দিনের ব্যবধানে শহরের দুই প্রান্তে মারা গেল দুই স্কুলপড়ুয়া। ১৩ তারিখ মারা গিয়েছে উল্টোডাঙার মুরারিপুকুর লেনের রিয়া (১৭)। শনিবার ভোরে দশ বছরের বালক আবির্ভাবের জীবন কেড়ে নিয়েছে এই মারণ জ্বর। তার বাড়ি বিজয়গড়ের শ্রীপল্লি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ অক্টোবর ২০১৭ ০৩:৫০
Share:

প্রতীকী চিত্র।

রিয়া সাহার পর আবির্ভাব মজুমদার।

Advertisement

ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে ন’দিনের ব্যবধানে শহরের দুই প্রান্তে মারা গেল দুই স্কুলপড়ুয়া। ১৩ তারিখ মারা গিয়েছে উল্টোডাঙার মুরারিপুকুর লেনের রিয়া (১৭)। শনিবার ভোরে দশ বছরের বালক আবির্ভাবের জীবন কেড়ে নিয়েছে এই মারণ জ্বর। তার বাড়ি বিজয়গড়ের শ্রীপল্লি।

গত শনিবার থেকে জ্বর শুরু হয় আবির্ভাবের। সে দিনই ডাক্তার দেখানো হয়। ওষুধ দেওয়ার পরেও জ্বর না কমায় সোমবার ছেলেকে অন্য ডাক্তার দেখান বাবা-মা। আবির্ভাবের বাবা অভিজিৎ মজুমদারের কথায়, ‘‘সোমবার রক্ত পরীক্ষার পর ডেঙ্গি ধরা পড়ায় মঙ্গলবার ই এম বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ছেলেকে ভর্তি করি। সোমবার প্লেটলেট ছিল ১ লক্ষ ৫৪ হাজার। মঙ্গলবার হাসপাতালে রক্ত পরীক্ষায় প্লেটলেট নেমে দাঁড়ায় ৩৩ হাজারে।’’ হাসপাতালে আবির্ভাবের চিকিৎসক বিচিত্রভানু সরকার বলেন, ‘‘মঙ্গলবার রাত থেকেই ওর অবস্থার অবনতি হয়। বুধবার সকালে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়। তাকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়। ডেঙ্গির কারণেই তার বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ অকেজো হয়ে পড়েছিল।’’ চিকিৎসকদের বক্তব্য, ডেঙ্গির যে নতুন সেরোটাইপ (ডেঙ্গ নিউ) এসেছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে, দ্রুত প্লেটলেট নেমে যাওয়া ও মৃত্যুর সেটাও কারণ হতে পারে।

Advertisement

সাউথ পয়েন্ট স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র, একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে বাবা দুষছেন প্রশাসনকে। তিনি বলেন, ‘‘ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। তা-ও কেন প্রশাসন অজানা জ্বর বলে দায় এড়াতে চাইছে?’’ তাঁর অভিযোগ, ‘‘ডেথ সার্টিফিকেটে মৃত্যুর কারণ হিসাবে ডেঙ্গি লিখতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের আপত্তি ছিল। পরে অবশ্য ওঁরা শুধরে নেন।’’

এ দিন আবির্ভাবের বাড়ি গিয়ে দেখা যায়, পাশেই ভ্যাট উপচে পড়ছে জঞ্জালে। পড়শিদের অভিযোগ, ভ্যাটটি দীর্ঘদিন সাফাই হয় না। ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও দেখা মেলে না পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীদের। পুরসভার মেয়র পারিষদ (জঞ্জাল পরিষেবা) দেবব্রত মজুমদার অবশ্য বলেন, ‘‘ভ্যাটটি পুরসভার নয়।’’ কাউন্সিলর মৃত্যুঞ্জয় চক্রবর্তীর দাবি, ‘‘সপ্তাহে দু’বার পুরকর্মীরা আসেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন