বাগডোগরা বিমানবন্দরে অপেক্ষারত যাত্রীরা। নিজস্ব চিত্র।
ট্রেন নেই, ভাঙাচোরা জাতীয় সড়ক, জলমগ্ন রাস্তা পেরিয়ে কিছু বাস আসছে ঠিকই। কিন্তু আটকে পড়া যাত্রীদের তুলনায় বাসের সংখ্যা কম। ফলে, বিমানই এখন প্রধান ভরসা। বাগডোগরা থেকে রোজ গড়ে তিন হাজার যাত্রী উড়ে যাচ্ছেন কলকাতা ও দিল্লি। টিকিটের দামও বেশ চড়া।
তার মধ্যেই সোমবার দুপুরে বাগডোগরা থেকে কলকাতায় আসার মুখে স্পাইসজেটের একটি বিমানের এসি বিকল হয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠল। যাত্রী-ক্ষোভে বাধ্য হয়ে বাগডোগরার রানওয়ে থেকে বিমান ফিরিয়ে আনতে বাধ্য হন পাইলট। এক বিবৃতিতে স্পাইসজেট জানিয়েছে, যান্ত্রিক গোলযোগে বিমানটিকে টার্মিনালে ফিরিয়ে আনতে হয়। পরীক্ষা করে তা সারানোর পরে সেটি ফের উড়ে গিয়েছে। বাগডোগরা বিমানবন্দরের অধিকর্তা রাকেশ সহায় জানান, ১৮১ যাত্রী নিয়ে বিমানটি রওনার পরে ফিরে আসে। পরে আবার উড়ে কলকাতায় যাত্রীদের নামিয়ে ওই বিমানটির চেন্নাই যাওয়ার কথা।
বিমানের যাত্রী, কলকাতার বাসিন্দা সৌমিত্র বিশ্বাস জানিয়েছেন, দুপুর ২টো ৫০ মিনিটে বিমানটির ছাড়ার কথা ছিল। তার আগে থেকেই বিমানের ভিতরে প্রচন্ড গরম লাগতে শুরু করে। এসি ঠিকঠাক কাজ করছিল না। সৌমিত্রবাবুর কথায়, ‘‘দমবন্ধ হয়ে আসছিল। কিছু যাত্রী অসন্তোষ জানান। পাইলট ঘোষণা করেন, কেউ বিমানের ভিতরে চেঁচামেচি করলে পুলিশ ডেকে নামিয়ে দেওয়া হবে।’’
সৌমিত্রবাবুর অভিযোগ, ওই দমবন্ধ অবস্থায় বিমানের দরজা বন্ধ করে তা গড়াতে শুরু করে। বিমান যখন প্রায় রানওয়ের কাছাকাছি পৌঁছয়, তখন সব যাত্রী উঠে প্রতিবাদ করেন। পাইলট বেগতিক দেখে বিমান নিয়ে টার্মিনালে ফিরে আসেন। সৌমিত্রবাবু বলেন, ‘‘বিমান সারানো হচ্ছে, এই বলে আমাদের প্রায় ৪৫ মিনিট ভিতরে বসিয়ে রাখা হয়। তার পরে টার্মিনালের ভিতরে নামানো হয়। বিকেল পাঁচটা নাগাদ বোর্ডিং কার্ড দেওয়া হয়।’’