Body Found in Kolkata

পিসিশাশুড়ির দেহ ট্রলিতে ভরে ফেলতে এসেছিলেন গঙ্গায়! জেরার মুখে কী বললেন আটক মা ও মেয়ে

স্থানীয়দের হাতে ধরা পড়ে যাওয়ার পর ফাল্গুনী এবং আরতি দাবি করেছিলেন, ট্রলি ব্যাগে কুকুরের দেহ রয়েছে। স্থানীয়েরা তা মানতে চাননি। তাঁরা পাল্টা দাবি করেন, দেহটি এক মহিলার।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১১:৩৭
Share:

(বাঁ দিকে) অভিযুক্ত ফাল্গুনী ঘোষ। সেই ট্রলি ব্যাগ (ডান দিকে)। —নিজস্ব চিত্র।

নীলরঙা ট্রলি ব্যাগ। আর তাতে ভরা দেহাংশ। আর তা ঘিরেই সোমবার সকালে সরগরম হয় কলকাতার কুমোরটুলি ঘাট চত্বর। দুই মহিলাকে গঙ্গার ধারে ট্রলি ব্যাগ নিয়ে ঘুরতে দেখে সন্দেহ হয় স্থানীয়দের। তারা চেপে ধরতেই সেই ট্রলি ব্যাগ থেকে বেরোয় দেহাংশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আটক দুই মহিলার নাম ফাল্গুনী ঘোষ এবং আরতি ঘোষ। সম্পর্কে ফাল্গুনী আরতির মেয়ে।

Advertisement

স্থানীয়দের হাতে ধরা পড়ে যাওয়ার পর ফাল্গুনী এবং আরতি দাবি করেছিলেন, ট্রলি ব্যাগে কুকুরের দেহ রয়েছে। স্থানীয়েরা তা মানতে চাননি। তাঁরা পাল্টা দাবি করেন, দেহটি এক মহিলার। পুলিশ সূত্রে খবর, জিজ্ঞাসাবাদের মুখে ফাল্গুনী এবং আরতি স্বীকার করে নিয়েছেন যে, দেহটি এক মহিলার। তাঁরা জানিয়েছেন দেহটি আদতে সুমিতা ঘোষ নামের এক বৃদ্ধার। সম্পর্কে তিনি ফাল্গুনীর পিসিশাশুড়ি। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, দুই অভিযুক্তই মধ্যমগ্রামের ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। সেখানে তাঁরা ভাড়া থাকতেন। এটি খুনের ঘটনা কি না, খুনটি মধ্যমগ্রামেই হয়েছিল কি না, এ সব খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

মা ও মেয়ের কাছ থেকে শিয়ালদহ-হাসনাবাদ লাইনের কাজীপাড়া স্টেশনের টিকিট মিলেছে। মঙ্গলবার তাঁরা সেখান থেকেই কলকাতায় এসেছিলেন বলে মনে করা হচ্ছে। তার পর তাঁরা হলুদ ট্যাক্সি ভাড়া করে প্রথমে প্রিন্সেপ ঘাট এলাকায় যান। কিন্তু সেখানে তাঁরা দেহাংশ ভরা ট্রলি ব্যাগটি ফেলতে পারেননি বলে মনে করা হচ্ছে। সেখান থেকে তাঁরা চলে যান কুমোরটুলি ঘাট চত্বরে। ঘাট সংলগ্ন ঝোপে ব্যাগটি ফেলার তোড়জোড় করতেই জড়ো হয়ে যান স্থানীয়েরা। খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। পুলিশ এসে দু’জনকে আটক করে নিয়ে যায়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement