শনিবার কালনায় জর্জ বেকারে উপর হামলা হয় বলে অভিযোগ।
দেড় দিন কেটে গেলেও বিজেপি সাংসদ জর্জ বেকারকে মারধরে অভিযুক্ত কালনার তৃণমূল কাউন্সিলরকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। শনিবার দুপুরে পূর্ব বর্ধমানের কালনায় আক্রান্ত হন সাংসদ। পুলিশ সে দিন চার জনকে গ্রেফতার করলেও অভিযোগে নাম থাকা তৃণমূল কাউন্সিলর সমরজিৎ হালদার-সহ দু’জন রবিবার রাত পর্যন্ত অধরাই। জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব এ দিন এই ঘটনা বিজেপি-র গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল বলে দাবি করেন।
দলের বিস্তারক কর্মসূচিতে যোগ দিতে শনিবার কালনায় আসেন জর্জ বেকার। অভিযোগ, শহরের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের একটি কার্যালয়ের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময়ে তাঁদের উপরে হামলা হয়। বিজেপি নেতা-কর্মীদের মারধরের পরে সাংসদের গাড়ি ভাঙচুর ও তাঁকে উইকেট দিয়ে মারা হয় বলে অভিযোগ। ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সমরজিৎ হামলায় নেতৃত্ব দেন বলে পুলিশের কাছে বিজেপি অভিযোগ করে।
আরও পড়ুন: আলাদা রাজ্য নিয়ে সুর নরম দিলীপের
এসডিপিও (কালনা) প্রিয়ব্রত রায় এ দিন বলেন, ‘‘দুই অভিযুক্ত পলাতক। তাদের খোঁজ চলছে।’’ তিনি জানান, তদন্তে অগ্রগতির জন্য যাঁরা ঘটনাস্থলে ছিলেন, তাঁদের কারও কাছে কোনও ফুটেজ থাকলে তা জমা দিতে বলা হয়েছে। ঘটনার পরে কালনা শহর তৃণমূল নেতৃত্ব পাল্টা দাবি করেছিলেন, বিজেপি-র কর্মীরাই তাঁদের কার্যালয়ে চড়াও হয়েছিলেন। সাংসদ মদ্যপ অবস্থায় গালিগালাজ করছিলেন। যদিও জর্জ বেকার সেই অভিযোগ উড়িয়ে দেন। এ দিন এসডিপিও জানান, পুলিশের কাছেও অনেকে এই অভিযোগ জানিয়েছেন। কালনা হাসপাতালের কাছে এ ব্যাপারে রিপোর্ট চাওয়া হবে। যদিও কালনা হাসপাতালের সুপার কৃষ্ণচন্দ্র বরাই বলেন, ‘‘সাধারণত কেউ হাসপাতালে ভর্তি হলে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। সাংসদ ভর্তি হননি, শুধু প্রাথমিক চিকিৎসা করিয়েছেন।’’
তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ আবার এ দিন দাবি করেন, বিজেপি সাংসদের উপরে হামলায় দলের কেউ জড়িত নয়। বিজেপি-র গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের দলের কয়েক জনের নামে মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছে।’’