বৃষ্টিভাগ্য ফেরাতে ভরসা নিম্নচাপই

‘সে’ সাগরে জন্ম নেওয়া একটি গভীর নিম্নচাপ। দিল্লির মৌসম ভবনের পূর্বাভাস, শক্তি বাড়িয়ে আজ, সোমবার সে একটি ঘূর্ণিঝড়ের চেহারা নিতে পারে। তার পরে সে বয়ে যেতে পারে বাংলাদেশ-মায়ানমার উপকূলের দিকে। কাল, মঙ্গলবার তার স্থলভূমিতে ঢুকে পড়ার কথা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ মে ২০১৭ ০৩:৫৭
Share:

প্রতীকী ছবি।

জামাই নয়। নেহাতই আগন্তুক ‘সে’। তবু জামাইষষ্ঠীতে সে-ই বাংলার জন্য বয়ে আনতে পারে কিছুটা স্বস্তির বার্তা! বঙ্গোপসাগরের আবহাওয়ার মতিগতি খতিয়ে দেখে এমনটাই জানাচ্ছে আলিপুর হাওয়া অফিস।

Advertisement

‘সে’ সাগরে জন্ম নেওয়া একটি গভীর নিম্নচাপ। দিল্লির মৌসম ভবনের পূর্বাভাস, শক্তি বাড়িয়ে আজ, সোমবার সে একটি ঘূর্ণিঝড়ের চেহারা নিতে পারে। তার পরে সে বয়ে যেতে পারে বাংলাদেশ-মায়ানমার উপকূলের দিকে। কাল, মঙ্গলবার তার স্থলভূমিতে ঢুকে পড়ার কথা। ঘূর্ণিঝড় এ রাজ্যে না-এলেও তার প্রভাবে বৃষ্টি হতে পারে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা গণেশকুমার দাস রবিবার বলেন, ‘‘মঙ্গল ও বুধবার বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। বিশেষত উপকূলীয় জেলাগুলিতে ভাল পরিমাণে বৃষ্টি মিলতে পারে।’’ আবহবিদেরা জানান, এই ঘূর্ণিঝড়ের টানে বর্ষা ঢুকে পড়তে পারে উত্তর-পূর্ব ভারতেও।

রবিবার বিকেল ও সন্ধ্যায় কমবেশি বৃষ্টি হয় কলকাতা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায়। আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, স্থানীয় ভাবে মেঘ জমেই বৃষ্টির এই মুষ্টিভিক্ষা মিলেছে। এটা দহনজ্বালার স্থায়ী সমাধান নয়।

Advertisement

আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি ভোটে জিতছিই: অমিত

ভরা জ্যৈষ্ঠে ভ্যাপসা গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা সারা দক্ষিণবঙ্গেই। তাপমাত্রা সে-ভাবে মাথাচাড়া না-দিলেও পথেঘাটে বেরিয়ে ঘেমেনেয়ে অস্থির হয়ে পড়ছেন লোকজন। বৃষ্টির জন্য হাপিত্যেশ করে বসে আছেন তাঁরা। এই পরিস্থিতিতে সন্ধ্যার ক্ষণবর্ষণ কিছুটা স্বস্তি দিয়েছে। তার থেকেও আশার আলো দেখা যাচ্ছে নিম্নচাপ-ঘূর্ণিঝড়কে ঘিরে হাওয়া অফিসের পূর্বাভাসে। তবে অনেকে বলছেন, নিম্নচাপ-ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব তো সাময়িক। এ রাজ্যে বর্ষা না-এলে তো গরমের দাপট কমবে না। বর্ষা আগমনের কী হাল?

মৌসম ভবন জানাচ্ছে, বর্ষা সক্রিয় হয়েছে আরবসাগরে। পরিস্থিতিও অনুকূল। তাই কাল, মঙ্গলবার বা পরশু, বুধবার কেরলে ঢুকে পড়তে পারে বর্ষা। বস্তুত, কেরলে বর্ষা ঢোকার নির্দিষ্ট তারিখ ১ জুন। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে ৮ জুন। কিন্তু গত তিন বছর কেরলে সেই নির্ঘণ্ট মেনে বর্ষা ঢোকেনি। ২০১৬ সালে কেরলেই বর্ষা ঢুকেছিল ৮ জুন! এই পরিস্থিতিতে এ বার কেরলে বর্ষা নির্ঘণ্ট মেনে হাজির হলে পশ্চিমবঙ্গেও ঘড়ির কাঁটা ধরেই তার আসার কথা। কিন্তু তেমনটা যে হবেই, সেটা সব সময় নিশ্চিত ভাবে বলা যায় না। আবহবিদদের একাংশের মতে, কেরলে বর্ষা ঢোকার পরে তার উত্তর ও পূর্ব ভারতের দিকে উঠে আসার জন্য কিছু অনুকূল পরিস্থিতির দরকার হয়। কেরলে বর্ষা ঢুকে পড়ার পরে সেই পরিস্থিতি থাকবে কি না, তার উপরে অনেক কিছু নির্ভর করছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন