—ফাইল চিত্র।
সনিয়া গাঁধী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়দের বৈঠক সত্ত্বেও চিন্তায় নেই বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। অঙ্ক কষে দলের নেতাদের তিনি জানিয়েছেন, সতেরোটি বিরোধী দল একজোট হয়েও হারাতে পারবে না বিজেপির রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থীকে।
বিজেপি সূত্রের মতে, দু’দিন আগে বিরোধীদের বৈঠকে কাকে সনিয়া বা রাহুল গাঁধীর পাশে বসানো হয়েছে, কে কতটা গুরুত্ব পেয়েছেন— সে সবই পুঙ্খানুপুঙ্খ নজরে রেখে বিরোধী জোটের রাজনীতি বোঝার চেষ্টা করেছেন নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহ। তার পরেই অমিত হিসেব কষে দেখিয়েছেন, সতেরোটি দল একজোট হলেও রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ১ লক্ষ ১৫ হাজার ৭২০ ভোটে হারছেন বিরোধী শিবিরের প্রার্থী। এই বিশাল ব্যবধানে জয়ের ‘নিশ্চিত’ সম্ভাবনার কথা বলে অমিত এক দিকে নিজের দলকে চাঙ্গা করতে চাইছেন। আবার এখনও দোলাচলে থাকা দলগুলিকে পরোক্ষ বার্তা দিচ্ছেন, তাঁরা যেন যেচে পরাজয় বরণ না করেন।
এই অঙ্ক কষার সময়ে অমিতরা অবশ্য ধরেই নিয়েছেন, যে সব দল সনিয়ার আমন্ত্রণ সত্ত্বেও বৈঠকে যায়নি, তারা সকলেই বিজেপির প্রার্থীকে ভোট দিচ্ছে। অর্থাৎ, এডিএমকে, টিআরএস, ওয়াইএসআর কংগ্রেস, বিজেডির মতো দলগুলি। এক নেতার মতে, ডিএমকে-র কানিমোজিকে পাশে বসিয়ে আসলে এডিএমকে-র দু’টি গোষ্ঠীকেই বিজেপির হাতে তুলে দিলেন সনিয়া।
আরও পড়ুন: বন্ধ উপেক্ষা করেই সেনা-পরীক্ষায় সাড়া কাশ্মীরে
দু’দিন আগেই সনিয়ার আমন্ত্রণে সতেরোটি দল একজোট হয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, মোদী যদি প্রণব মুখোপাধ্যায়কে ফের রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী করেন, তা হলে বিরোধীরা সমর্থন করবে। তা না হলে নিজেদের প্রার্থী দাঁড় করাবে। কিন্তু ১৫ জুন পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে কোনও উচ্চবাচ্যই করতে চান না মোদী-শাহ। কারণ, তত দিন পর্যন্ত গোটা দেশে চলবে ‘মোদী-উৎসব’।
বিজেপির এক শীর্ষ নেতা আজ বলেন, এই প্রথম এনডিএ-র কাউকে রাষ্ট্রপতি পদে জিতিয়ে আনার সুযোগ এসেছে। ফলে বিজেপিই প্রার্থী ঠিক করবে। আর বিরোধীরা জোট করলেও হার নিশ্চিত। তাঁর কথায়, ‘‘বিরোধীরা বিজেপিকে লোকসভায় হারানোর জন্য জোট বাঁধতে চাইলে রাস্তায় নেমে আন্দোলন করুন।’’
এই মনোভাব থেকেই স্পষ্ট, প্রণববাবুকে ফের রাষ্ট্রপতি করতে খুব একটা আগ্রহী নয় বিজেপি। আজ অবশ্য রেডিওতে ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতির প্রশংসাই করেছেন প্রধানমন্ত্রী। দু’দিন আগেই রাষ্ট্রপতি ভবনে মোদীর ‘মন কি বাত’-এর ভিত্তিতে লেখা দু’টি বইয়ের প্রথম কপি তুলে দেওয়া হয়েছিল রাষ্ট্রপতির হাতে। সে কথা উল্লেখ করে আজ মোদী বলেন, তাঁর মতো ‘সাধারণ’ মানুষের মনের কথাকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছেন রাষ্ট্রপতি।
বিরোধীদের বিরোধিতাকেও আজ স্বাগত জানান মোদী। তাঁর কথায়, সরকারের তিন বছরকে অনেকে নানা ভাবে বিশ্লেষণ করেছেন। গণতন্ত্রে সরকারের জবাবদিহির ব্যবস্থা থাকা দরকার। যাঁরা সমর্থন করেছেন, যাঁরা ত্রুটি খুঁজে বার করেছেন, সকলকে ধন্যবাদ। এই সমালোচনা ও গুরুত্বপূর্ণ ফিডব্যাকের ভিত্তিতে খামতি দূর করার সুযোগ পাওয়া যায়। গঠনমূলক সমালোচনা সব সময়েই গণতন্ত্রকে জোরালো করে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy