প্রতীকী ছবি
নিম্নচাপ, ঘূর্ণাবর্ত, মৌসুমি অক্ষরেখা। এই ত্রিফলার দাপটে বৃষ্টি চলছে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, আগামী ৪৮ ঘণ্টা অর্থাৎ কাল, শনিবার পর্যন্ত হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি চলতে পারে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে। উপকূলবর্তী জেলাগুলির কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টিও হতে পারে।
কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল (পূর্বাঞ্চল) সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, উত্তরপ্রদেশে একটি নিম্নচাপ রয়েছে। রাজস্থান থেকে মৌসুমি অক্ষরেখা সেই নিম্নচাপের উপর দিয়ে বিহারে এসে বিভক্ত হয়েছে দু’টি শাখায়। একটি শাখা কলকাতা হয়ে গিয়েছে বঙ্গোপসাগরে। অন্যটি মালদহের উপর দিয়ে শিলচরে গিয়েছে। ওড়িশা ও বাংলাদেশে রয়েছে দু’টি ঘূর্ণাবর্ত। এই তিন শক্তি পাশে দাঁড়ানোয় জোর পেয়েছে বর্ষা। সব মিলিয়ে বুধবার রাত থেকে দফায় দফায় বৃষ্টি হয়ে চলেছে। কলকাতার অনেক এলাকায় জল জমে গিয়েছে রাস্তায়।
এ বছর বর্ষার পূর্বাভাসে মৌসম ভবন জানিয়েছিল, পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব ভারতে তুলনায় কম বৃষ্টি হবে। জুন থেকেই বর্ষণে ঘাটতি ছিল। কয়েক দিন আগে সাগরে দানা বাঁধা গভীর নিম্নচাপের জেরে পরিস্থিতি বদলায়। হাওয়া অফিসের খবর, গাঙ্গেয় বঙ্গে ঘাটতি প্রায় ৩০ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল। তবে এই দফার বৃষ্টিতে বৃহস্পতিবার সেই ঘাটতি ১৬ শতাংশে নেমে এসেছে। আবহাওয়া দফতরের হিসেবে ১৯ শতাংশের নীচে বৃষ্টি-ঘাটতি থাকলে তাকে মোটামুটি স্বাভাবিক বলা চলে।
আবহবিদদের অনেকে বলছেন, বর্ষা একনাগাড়ে সমান দাপটে চলে না। জোরালো বর্ষণের পরে কিছু দিন বিরাম নেয় সে। এই পরিস্থিতি কাটলে কি ফের বর্ষণে লাগাম পড়বে? হাওয়া অফিসের খবর, দু’তিন দিনের মধ্যে বঙ্গোপসাগরে ফের একটি নিম্নচাপ দানা বাঁধতে পারে। ‘‘সেটি কখন কোথায় দানা বাঁধতে চলেছে, তার উপরে নজর রাখছি আমরা। ওই নিম্নচাপ কোথায় কেমন বৃষ্টি ঝরাবে, দানা বাঁধার পরেই সেটা নিশ্চিত ভাবে বলা সম্ভব,’’ বলছেন সঞ্জীববাবু।