তাঁর ভাই ও অনুগামীরা তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরে কংগ্রেসের মধ্যে তিনি এখন একঘরে। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে দলের বিধায়কদের মধ্যে বিভাজন তৈরি করতে এ বার আব্দুল মান্নানের পরিবর্তে বাঘমুণ্ডির বিধায়ক নেপাল মাহাতোকে বিরোধী দলনেতা করার দাবি তুললেন মানস ভুঁইয়া! নেপালবাবু এখন কংগ্রেস পরিষদীয় দলের উপ-নেতা।
কংগ্রেস পরিষদীয় কক্ষে নেপালবাবুকে চেয়ার ছে়ড়ে দিতে বলায় এক মাস আগেই মান্নানের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়েছিলেন মানসবাবু। বিবাদ মেটাতে পরে নেপালবাবুর জন্য পৃথক চেয়ারের ব্যবস্থা করেছিলেন মান্নান। এখন সেই নেপালবাবুকেই মান্নানের চেয়ারে বসাতে চাইছেন মানসবাবু! অন্য বিধায়কের সঙ্গে শুক্রবার নেপালবাবুও মানসবাবুকে সাসপেন্ডের সুপারিশে সই করেছিলেন। অর্থাৎ যিনি কার্যত তাঁর সঙ্গে নেই, তাঁকেও মানসবাবু আঁকড়ে ধরতে চাইছেন!
মানসবাবুর দাবি উড়িয়ে দিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী অবশ্য শনিবার বলেছেন, ‘‘তৃণমূলের কথায় যিনি চলেন, তাঁর কোনও গুরুত্ব আমার কাছে নেই। ওঁর সঙ্গে উনি ছাড়া কোনও বিধায়কও নেই!’’ মানসবাবু ফের জানিয়েছেন, তাঁর প্রতি অবিচারের কথা জানিয়ে তিনি সনিয়া ও রাহুল গাঁধীকে চিঠি দেবেন। বারবার প্রশ্ন সত্ত্বেও তৃণমূলের দল ভাঙানো নিয়ে কোনও কড়া কথা অবশ্য তিনি বলেননি। পরে অধীর বলেছেন, ‘‘উনি হাজার বার সনিয়াজি ও রাহুলকে চিঠি লিখতে পারেন। আমি যতক্ষণ সভাপতি আছি, তৃণমূলের কোনও এজেন্টকে দলে রাখব না! প্রয়োজনে ওঁকে বহিষ্কার করা হবে।’’