শহিদ দিবসের আগে এ বারও অশনি সঙ্কেত দেখছে কংগ্রেস! কয়েক বছর ধরে ২১ জুলাই আসে আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মঞ্চে গিয়ে যোগ দেন কংগ্রেস-সহ বিরোধী দলের কিছু বিধায়ক! এ বারও তৃণমূল দল ভাঙানোর চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করে সংগঠন ধরে রাখতে উদ্যোগী হয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী।
ভাঙন রুখতে এক দিকে দলকে আন্দোলনমুখী করা এবং অন্য দিকে পুলিশি হেনস্থার শিকার নেতা-কর্মীদের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রদেশ নেতৃত্ব। বিধান ভবনে শুক্রবার প্রদেশ কংগ্রেসের বর্ধিত বৈঠকে এই গোটা পরিস্থিতিই আলোচ্য ছিল। জেলার নেতারা অধীরকে আশ্বস্ত করেছেন, প্রলোভন এবং ভয় দেখিয়ে তৃণমূল চেষ্টা করলেও সহজে দল ভাঙতে পারবে না।
বৈঠকের পরে অধীর বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, আইনের শাসন চান। থানার ওসি থেকে পুলিশ সুপার পর্যন্ত যাঁরা কংগ্রেস কর্মীদের মিথ্যা মামলায় জড়াচ্ছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে জেলায় আন্দোলন করা হবে। প্রয়োজনে তাঁদের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও দাবিপত্র দেওয়া হবে।’’ অধীরের নেতৃত্বে বৃহস্পতিবারই স্বাস্থ্য ভবন অভিযান করেছিল কংগ্রেস। শহরের বেকার যুবকদের কৃষকদের সঙ্কট, তফসিলি ও আদিবাসীদের সমস্যা, রেশন থেকে বিদ্যুৎ— সব বিষয় নিয়েই কংগ্রেস আন্দোলনে নামবে বলে অধীর ঘোষণা করেছেন। দলকে চাঙ্গা করার পাশাপাশি এই আন্দোলন কর্মসূচির অন্যতম তাড়না কংগ্রেসের জনপ্রতিনিধিদের প্রতি তৃণমূলের নেক নজর! কংগ্রেসের অভিযোগ, ২১ জুলাইয়ের আগে দলের বিধায়ক, পুরসভার কাউন্সিলর, পঞ্চায়েত প্রতিনিধিদের প্রলোভন ও ভয় দেখিয়ে ভাঙানোর চেষ্টা হচ্ছে।
অভিযোগ উড়িয়ে তৃণমূল নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘পায়ের নীচে থেকে মাটি সরে যাচ্ছে বলেই অধীরবাবু দল ভাঙার দুঃস্বপ্ন দেখছেন!’’