জুতো চোরের খোঁজে তদন্ত শুরু করেছে কলকাতা পুলিশ। —ফাইল চিত্র।
রাস্তার ঝাঁকুনিতে ছিটকে পড়ে গিয়েছিল জুতোবোঝাই চার-চারটি বাক্স। সেগুলি তুলে নিয়ে পালিয়েছিলেন এক যুবক। পরে সেই জুতো বিক্রি করতে গেলে তিনি ধরা পড়ে যান। তাঁর বিরুদ্ধে আনন্দপুর থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
অভিযোগকারীর নাম প্রশান্ত মণ্ডল। তিনি পেশায় গাড়িচালক। শহরের একটি জনপ্রিয় জুতো সরবরাহকারী সংস্থায় কর্মরত প্রশান্ত। অভিযোগপত্রে তিনি জানিয়েছেন, গত ১৪ ডিসেম্বর সংস্থার তরফে নাজিরাবাদে তাঁকে কিছু পণ্য পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বোরালিঘাট এলাকায় সংস্থার গুদাম থেকে পণ্য সংগ্রহ করে তিনি নাজিরাবাদের দিকে যাচ্ছিলেন। কিন্তু ওই দিন ভোরে আনন্দপুরে আরবানার কাছে রাস্তার ঝাঁকুনিতে চারটি পণ্যবোঝাই বাক্স ছিটকে পড়ে যায়। অভিযোগ, সঙ্গে সঙ্গে রাস্তা থেকে তা তুলে নিয়ে পালিয়ে যান এক যুবক। চেষ্টা করেও তখন তাঁকে ধরা যায়নি।
ভোর সাড়ে ৪টে নাগাদ এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন অভিযোগকারী। পরে একটি নির্দিষ্ট জুতোর দোকান থেকে তাঁদের সংস্থায় ফোন আসে। ওই দোকানের মালিক জানান, নুর হোসেন সর্দার নামের এক যুবক সংশ্লিষ্ট সংস্থার পণ্য দোকানে বেআইনি ভাবে বিক্রির চেষ্টা করেছেন। অভিযুক্তের সঙ্গে যোগাযোগ করে জুতো ফেরত চাওয়া হলেও তিনি সহযোগিতা করেননি বলে অভিযোগ। উল্টে তাঁর মোবাইল নম্বর ‘ব্লক’ করে দেওয়া হয়। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে উপযুক্ত আইনি পদক্ষেপের আর্জি জানিয়েছেন প্রশান্ত। দাবি, অভিযুক্ত নুর হোসেনের বাড়ি নরেন্দ্রপুর থানা এলাকায়।
প্রশান্তের অভিযোগের ভিত্তিতে ১৭ ডিসেম্বর এফআইআর রুজু করে আনন্দপুর থানার পুলিশ। অভিযুক্তের সন্ধানে তল্লাশি চলছে। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৩০৩ ধারায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।