বাংলা বন্ধ নিয়ে তরজা আরও তীব্র হল প্রদেশ কংগ্রেসের অন্দরে। সবংয়ের বিধায়ক মানস ভুঁইয়া দিন বদলের আর্জি জানালেও আগামী ১৮ অগস্টই ১২ ঘণ্টার বাংলা বন্ধে অনড় থাকলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। বিধান ভবন থেকে প্রদেশ কংগ্রেস বুধবার বন্ধের পাকা ঘোষণাই করে দিয়েছে!
প্রথমে ২০ অগস্ট বন্ধ ডেকেও তা দু’দিন এগিয়ে এনেছেন অধীর। কেতুগ্রামের ছাত্রীকে খুন, সবংয়ে ছাত্র পরিষদের কর্মীর হত্যা বা রায়গঞ্জ ইউনিভার্সিটি কলেজে ছাত্র পরিষদের উপরে গুলিচালনার প্রতিবাদে ১৮ অগস্ট, মঙ্গলবার বাংলা বন্ধের ডাক দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তার পরের দিন বুধবারই কংগ্রেসের সংখ্যালঘু শাখার সম্মেলন রয়েছে কলকাতায়। আগের দিন বন্ধ হলে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দলীয় কর্মীদের আসতে অসুবিধা হতে পারে, এই আশঙ্কায় সনিয়া ও রাহুল গাঁধীকেও চিঠি দিয়েছেন মানসবাবু।
সেই প্রসঙ্গেই অধীর-ঘনিষ্ঠ বহরমপুরের বিধায়ক মনোজ চক্রবর্তী নাম না করে এ দিন মানসবাবুকে কটাক্ষ করেছেন, ‘‘যাঁরা দোদুল্যমান, বিধায়ক, সাংসদ হতে চান, তাঁরা বন্ধের দিন বদল করতে চাইছেন! কিন্তু কংগ্রেসের সাধারণ কর্মীরা রাস্তায় নেমে ১৮ তারিখের বন্ধ সফল করবেন।’’ অধীর তাঁর ঘনিষ্ঠ মনোজবাবুকে দিয়ে এ দিন সাংবাদিক সম্মেলন করে মানসবাবুকে আক্রমণ করেছেন বলে কংগ্রেসের একাংশের ধারণা। মানসবাবুর ঘনিষ্ঠ প্রদেশ কংগ্রেসের আর এক সাধারণ সম্পাদক অজয় ঘোষ আবার পাল্টা বলেছেন, ‘‘কংগ্রেসের স্বীকৃত প্রার্থীকে হারিয়ে ২০০৬ সালে বিধায়ক হয়ে এসেছিলেন মনোজবাবু। পিছন থেকে ছুরি মারার রাজনীতি তাঁরা ভালই জানেন! তাঁদের কাছ থেকে অন্য কিছু আশা করা
যায় না!’’
কংগ্রেসের ডাকা ১৮ অগস্টের বন্ধের প্রতিবাদে এ দিনই কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন আইনজীবী রমাপ্রসাদ সরকার। আবেদনে বলা হয়েছে, বন্ধে স্বাভাবিক জীবন বিপর্যস্ত হয়। তাই কোনও দলেরই বন্ধ ডাকা উচিত নয়। ১৮ তারিখের বন্ধকে বেআইনি ঘোষণা করার আর্জিও জানিয়েছেন তিনি।