প্রতিবাদে অনড়। দলীয় বিধায়কদের নিয়ে রাস্তাতেই বসে পড়লেন অধীর চৌধুরী। বুধবার ধর্মতলায় সুদীপ্ত ভৌমিকের তোলা ছবি।
বিধানসভার ভিতরে ও বাইরে গণতন্ত্রকে হত্যার চেষ্টার বিরুদ্ধে তাঁদের দল রাস্তায় নেমে লড়াই চালিয়ে যাবে বলে জানিয়ে দিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। বিধানসভার মধ্যেই বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নানের উপরে শারীরিক নিগ্রহ, কংগ্রেসের প্রতিমা রজক বা সিপিএমের জাহানারা খানের মতো মহিলা বিধায়কের মর্যাদাহানির প্রতিবাদে বুধবার ‘বিধানসভা অভিযানে’র ডাক দিয়েছিল প্রধান বিরোধী দল। সেই কর্মসূচিতেই অধীরবাবু বলেন, ‘‘এই সরকার গণতন্ত্রকে হত্যা করতে চায়। আমরা গণতন্ত্রকে খুন হতে দেব না! সন্ত্রাস, লুঠের রাজত্বের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে লড়াই চলবে।’’
রাজা সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে এ দিন কংগ্রেসের মিছিলের নেতৃত্ব দেন প্রদেশ সভাপতিই। ছিলেন সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য, দলের এক ঝাঁক বিধায়ক ও জেলা সভাপতিরা। ধর্মতলায় ব্যারিকেড করে পুলিশ মিছিলের পথ আটকালে বিধায়কদের নিয়ে রাস্তাতেই বসে পড়়েন অধীরবাবু। তাঁর অভিযোগ, ‘‘বিধানসভার মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়ার পরে বিরোধী দলনেতার জন্য সভাকক্ষের মধ্যে স্ট্রেচার পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। সভার বাইরে এনে তাঁকে স্ট্রেচারে নেওয়া হয়েছে। মহিলা বিধায়কদের অসম্মান করে বার করে দেওয়া হয়েছে।’’ অধীরবাবুদের অবস্থান চলাকালীন মিছিলের একাংশের সঙ্গে অবশ্য পুলিশের ধস্তাধস্তি বাধে। দ্রুতই পরিস্থিতি সামাল দেন প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তী। উপস্থিত ১০ হাজার লোককে গ্রেফতার করে ঘটনাস্থলেই ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে তাঁদের মুক্তি দেওয়া হল বলে পুলিশ-কর্তারা ঘোষণা করায় অবস্থান ওঠে। পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় অবশ্য কটাক্ষ করেছেন, ‘‘ওদের তো ওই কাজ! কোর্ট আর বয়কট!’’
তবে মিছিলের পরে বিধানসভার ফটকে পুলিশ কয়েক জন কংগ্রেস বিধায়ককে চিনতে না পেরে বাধা দিলে আবার বচসা বাধে। তখন অবস্থা নিয়ন্ত্রণে আনেন কংগ্রেসের সচেতক মনোজ চক্রবর্তী। তিনি ও বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী জানিয়েছেন, ওই ঘটনার প্রতিবাদে আজ, বৃহস্পতিবার অধিবেশনের প্রথমার্ধে তাঁরা বিক্ষোভ দেখাবেন।