নতুন পোশাক সঙ্গে আনেন অদিতি

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৩:৩৭
Share:

অভিযুক্ত অদিতি। —নিজস্ব চিত্র

পানিহাটির বাসিন্দা প্রতুল চক্রবর্তীকে খুন করার পরে নিজের পোশাক পাল্টে নিয়েছিলেন তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী অদিতি। খুনের সময়ে যে পোশাক তিনি পরে ছিলেন, ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেওয়ার সময়ে সেগুলি খালের জলে ফেলে দেন কলকাতা বিমানবন্দরের ওই কর্মী। এ সব জানার পরে তদন্তকারীরা এখন নিশ্চিত যে, খুনের পরিকল্পনা করেই প্রতুলের বাড়িতে যান অদিতি।

Advertisement

কিন্তু প্রতুলকে খুনের ফন্দি আঁটলেন কেন?

পুলিশ সূত্রের খবর, জেরায় অদিতি জানান, তিনি তিন নম্বর বিয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তার জন্য অনলাইনে বিজ্ঞাপনও দেন। সেই সূত্রে এক যুবকের সঙ্গে বিয়ের কথাবার্তা বেশ কিছুটা এগিয়েছিল। কিন্তু পথের কাঁটা হয়ে ছিলেন প্রতুল। আলাদা থাকলেও অদিতির সমস্ত গতিবিধির উপরে নজর রাখছিলেন ওই প্রৌঢ়। অভিযোগ, ইচ্ছুক পাত্রদের কয়েক জনের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিয়ের পরিকল্পনা ভেস্তে দেওয়ারও চেষ্টা করেন তিনি। পাশাপাশি, প্রতুল প্রতিনিয়ত টাকা চেয়ে অদিতিকে হুমকিও দিতেন। আবার প্রতুলের পাওনাদারেরা অদিতির ফ্ল্যাটে গিয়ে টাকার জন্য ঝামেলা করতেন বলেও দাবি ওই মহিলার। তিনি নিজেও কয়েক লক্ষ টাকা পেতেন প্রতুলের কাছে। অদিতি ভেবেছিলেন, প্রতুলকে খুন করলে সব সমস্যা মিটে যাবে।

Advertisement

অদিতির দাবি, তাঁকে টাকা ফেরতের টোপ দিয়ে নতুন করে সংসার শুরুর প্রস্তাব দিয়েছিলেন প্রতুল। টাকা আনতে প্রাক্তন স্ত্রীকে পানিহাটিতে যেতে বলেন ওই প্রৌঢ়। তখনই খুনের পরিকল্পনা করেন অদিতি। ওই রাতে তিনি পানিহাটির বাড়িতে যাওয়ার পরে দু’জনে একসঙ্গে রাতের খাবার খেয়ে নেশা করেন। প্রতুল দু’বোতল মদ খেয়ে শারীরিক ভাবে দুর্বল হয়ে পড়েন। প্রথমে হাতাহাতি করে তাঁকে কাবু করে বিছানায় ফেলে মুখে বালিশ চেপে ধরেন অদিতি। তার পরে শাড়ির পাড় খুলে গলায় ফাঁস দেন। বুধবার তাঁকে আদালতে তোলা হলে বিচারক আরও পাঁচ দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।

এ দিন প্রতুলের দেহ নিতে আসেন দিদি চন্দনা চক্রবর্তী। তিনি জানান, প্রতুলের বাড়ি গুরুগ্রামে নয়। এমবিএ করে তিনি সেখানে চাকরি করতে যান। তাঁদের বাড়ি আগরপাড়ায়। চন্দনা জানান, বাড়ির অমতেই অদিতিকে বিয়ে করেছিলেন প্রতুল। হাসপাতালে দেহ শনাক্ত করে তিনি বলেন, ‘‘আজ ভাইয়ের জন্মবার। আজই ওর দেহ নিতে আসব ভাবিনি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন