বাংলা মদে বিষক্রিয়ায় মৃত্যু আরও দু’জনের

বাংলা মদের বিষক্রিয়ায় বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। আরও দু’জনের মৃত্যু হয়েছে কুলতলিতে। এই নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৮। ঘটনার তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জাল দেশি মদ তৈরির একটি কারখানারও হদিস মিলেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ অগস্ট ২০১৫ ০৩:৩৬
Share:

বাংলা মদের বিষক্রিয়ায় বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। আরও দু’জনের মৃত্যু হয়েছে কুলতলিতে। এই নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৮। ঘটনার তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জাল দেশি মদ তৈরির একটি কারখানারও হদিস মিলেছে।

Advertisement

শুক্রবার রাতে কুলতলির চুপড়িঝাড়ায় বাংলা মদ খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন প্রায় ১৭ জন। রবিবার ওই এলাকা থেকে প্রায় চার কিলোমিটার দূরে খড়িবাড়িতে বাংলা মদ খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন আরও ১৪ জন। সকলেরই রক্তবমি, পায়খানার মতো উপসর্গ ছিল। পুলিশ জানায়, সনৎ মণ্ডল (৩৫) নামে এক ব্যক্তি বাড়িতেই মারা যান। এম আর বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয় মনোরঞ্জন হালদারের (৫৫)। এগারো জন অসুস্থ অবস্থায় এমআর বাঙুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

ইতিমধ্যেই সোমবার কুলতলির জামতলাহাট এলাকা থেকে কাশী সর্দার ও অনন্ত সর্দার নামে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁরাও মদের বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত। এমআর বাঙুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ধৃতদের কয়েক দফা জেরার পরে তদন্তকারী অফিসারেরা জানান, জামতলা হাটের এক মদ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে মদ নিয়ে এসে খড়িবাড়ি গ্রামে ঠেক চালাতেন কাশী ও অনন্ত। চুপড়িঝাড়া গ্রামের মালতি সর্দারও ওই জামতলা হাট থেকে মদ কিনে এনেই বাড়িতে ব্যবসা চালাতেন।

Advertisement

জামতলাহাটে একটি দেশি জাল মদের কারখানার হদিস মিলেছে বলে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা আবগারি দফতর সূত্রের খবর। তবে ওই কারখানার মালিক রবি বৈদ্য ফেরার। তাঁর মা কমলা বৈদ্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ওই কারখানা থেকে বেশ কিছু বোতল-ভর্তি জাল দেশি মদ উদ্ধার করা হয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার পুলিশ সুপার সুনীল চৌধুরী বলেন, ‘‘তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ঘটনায় জড়িত কয়েক জনের খোঁজে তল্লাশি চলছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন