BJP

Bjp: ‘বিক্ষুব্ধ’ বিজেপির হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ

চিন্তন বৈঠকের প্রাথমিক প্রস্তুতি হিসেবে এ বার হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খুলল বঙ্গ বিজেপির বিক্ষুব্ধ অংশ। গ্রুপের নাম ‘বিজেপি বাঁচাও মঞ্চ’।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ জুন ২০২২ ০৭:২৩
Share:

ফাইল ছবি

চিন্তন বৈঠকের প্রাথমিক প্রস্তুতি হিসেবে এ বার হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খুলল বঙ্গ বিজেপির বিক্ষুব্ধ অংশ। ‘বিজেপি বাঁচাও মঞ্চ’ নামের ওই গ্রুপে যোগ করা হয়েছে প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথাগত রায়, বীরভূম জেলার প্রাক্তন সভাপতি দুধকুমার মণ্ডল, প্রাক্তন রাজ্য সহ সভাপতি চন্দ্র বসু, সংখ্যালঘু শাখার প্রাক্তন সহ সভাপতি শামসুর রহমানকে। এ ছাড়া ওই গ্রুপে রয়েছেন একাধিক জেলার প্রাক্তন জেলা ও মণ্ডল সভাপতিরা। উল্লেখ্য এ দিনই দুধকুমারকে দল বিরোধী মন্তব্যের জেরে কারণ দর্শানোর চিঠি দিয়েছে দল। এই মুহূর্তে গ্রুপের সদস্য সংখ্যা একশোর কাছাকাছি দাঁড়িয়েছে। তারা এই বৈঠকের প্রচারের জন্য এই গ্রুপটিকে ব্যবহার করবেন বলে জানিয়েছেন বিক্ষুব্ধরা। উদ্যোক্তাদের দাবি, আগামী কয়েকদিনের মধ্যে এই গ্রুপে আরও বেশ কয়েক জন যোগ দেবেন।

Advertisement

তবে প্রাথমিক ভাবে যোগাযোগের কাজ এগোলেও প্রস্তুতি ইতিমধ্যে ধাক্কাও খেয়েছে। দলের প্রাক্তন রাজ্য সম্পাদক (সংগঠন) সুব্রত চট্টোপাধ্যায়কে এই বৈঠকে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ করেছিলেন উদ্যোক্তারা। তিনি সেই অনুরোধ ফিরিয়ে দিয়েছেন। পাশাপাশি রাজ্য বিজেপির আর এক ‘বিক্ষুব্ধ’ নেতা অম্বুজ মহান্তি চিঠি দিয়ে বৈঠকে উপস্থিত হওয়ার জন্য বেশ কিছু শর্ত দিয়েছেন। তিনি বলেন, “বৈঠকের লক্ষ্য যদি হয় সমন্বয় তৈরি, তা হলে আমি থাকব। কিন্তু শুধুমাত্র কাউকে দোষারোপ করার জন্য এই বৈঠক হলে, আমার উপস্থিত থাকার
প্রশ্নই নেই।”

এ দিকে বিক্ষুব্ধদের চিন্তন বৈঠকের খবর প্রকাশের পরই নড়েচড়ে বসল রাজ্য বিজেপি। সম্প্রতি দলের কার্যনির্বাহী কমিটির হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপটির সেটিং বদল করা হয়েছিল। অ্যাডমিন ছাড়া যাতে কেউ কোনও বার্তা না পাঠাতে পারেন, সেই ব্যবস্থা করা হয়েছিল। যার জেরে ক্ষুব্ধ হয়ে গ্রুপ ছেড়েছিলেন রাজ্য বিজেপির উদ্বাস্তু শাখার প্রাক্তন আহ্বায়ক মোহিত রায়। এ বার সেই নিয়ম বদলে দিলেন দলের তথ্য প্রযুক্তির দায়িত্বে থাকা কর্মীরা। এ বার থেকে ফের দলের কার্যনির্বাহী কমিটির সকল সদস্যই সেখানে বার্তা পাঠাতে পারবেন। এই প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপির প্রধান মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “রাজনৈতিক বা সাংগঠনিক ভাবে এর কোনও তাৎপর্য নেই। দল মনে করেছিল, তাই এক রকম সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। এখন দল মনে করেছে তাই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছে। এর মধ্যে কোথাও কোনও চাপানউতোর বা বিতর্ক নেই।”

Advertisement

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন