Flights

Flights: আচমকা প্যারিসের উড়ান বাতিলে ধন্দ

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ জানুয়ারি ২০২২ ০৮:১২
Share:

ফাইল চিত্র।

মুখে কুলুপ এঁটেছে এয়ার ইন্ডিয়া। সোমবার মাঝরাতে দিল্লি থেকে এয়ার ইন্ডিয়ার প্যারিসের উড়ান বাতিলের কারণ সম্পর্কে অন্ধকারে যাত্রীরাও। তাঁদের একাংশের ধারণা, সম্ভবত পাইলট বা বিমানসেবিকারা করোনায় আক্রান্ত বলেই ওই উড়ান বাতিল করা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টা পরে মঙ্গলবার রাতে নতুন কর্মীদের নিয়ে দিল্লি থেকে রওনা হয়েছে সেই উড়ান।

Advertisement

কিন্তু সোমবারের উড়ান বাতিলের কারণ খোলসা করেনি এয়ার ইন্ডিয়া। তারা শুধু জানিয়েছে, উড়ান বাতিলের কথা যাত্রীদের জানানোর পাশাপাশি তাঁদের হোটেলে রাখা হয়েছিল।

ওই উড়ান ধরতে কলকাতা থেকে সোমবার রাত পৌনে ১১টায় দিল্লিতে পৌঁছন যাদবপুরের দেবব্রত বসু। প্যারিসে গবেষণা করছেন তিনি। মঙ্গলবার সকালে দিল্লির হোটেল থেকে দেবব্রতবাবু ফোনে বলেন, “দিল্লিতে নেমে সোমবার রাতে প্যারিসের উড়ানের জন্য চেক-ইন করার সময় আমাদের পাশে দাঁড়াতে বলা হয়। কিছু পরে জানানো হয়, উড়ান বাতিল হয়েছে। কিন্তু কেন বাতিল করা হল, তা জানানো হয়নি। সাধারণত, বিমান খারাপ থাকলে বলা হয়, যান্ত্রিক ত্রুটির জন্য বাতিল হচ্ছে উড়ান। এ ক্ষেত্রে তা-ও বলা হয়নি।’’ দেবব্রতবাবু জানান, কলকাতা থেকে সরাসরি প্যারিসে বাক্স বুক করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু রাতেই দিল্লি বিমানবন্দরে তাঁদের হাতে মালপত্র দিয়ে হোটেলে পাঠানো হয়। পরের উড়ান কখন ছাড়বে, মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত তাঁরা তা জানতে পারেননি।

Advertisement

দেবব্রতবাবুর কথায়, “হোটেলে পৌঁছই রাত ১টা নাগাদ। উড়ান সংস্থার কারও সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই। মঙ্গলবার সকাল থেকে রিসেপশনে জানতে চাইলে বলা হয়, কখন উড়ান ছাড়বে, তাঁরা তা জানেন না। শুধু হোটেলের এক জন জানান, কোভিড প্রোটোকলের জন্য উড়ান বাতিল।’’

প্যারিসের পথে দেবব্রতবাবুর মতো অন্তত ১০০ যাত্রী আটকে পড়েন হোটেলে। তাঁদের মধ্যে কয়েক জন দিল্লির বাসিন্দা। তাঁদের অনেকেই মঙ্গলবার সকালে বাড়ি চলে যান। বাকিদের অনেকেই কেরল, তামিলনাড়ু ও পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা। কম্পিউটার সায়েন্সের শিক্ষক দেবব্রতবাবু জানান, মঙ্গলবার প্যারিসে পৌঁছে তাঁর পড়ানোর কথা ছিল। সব বাতিল করতে হয়েছে।

হোটেলের কোভিড বিধি নিয়েও সরব হয়েছেন অনেকে। অভিযোগ, হোটেলের কর্মীদের অনেকেই মাস্ক ব্যবহার করছিলেন না। উড়ান সংস্থার তরফে মঙ্গলবার প্রাতরাশ ও দুপুরের খাবার দেওয়া হয়েছিল যাত্রীদের। কিন্তু সেটা হোটেলের লবিতে গিয়ে সকলের সঙ্গে বুফে-তে খাওয়ার কথা ছিল। যাত্রীদের অভিযোগ, সকলের মধ্যে গিয়ে খেলে সংক্রমণের আশঙ্কা থাকবে। কিন্তু আলাদা করে ঘরে সেই খাবার পৌঁছে দিতে রাজি হননি হোটেল-কর্মীরা। তাই অনেকেই বাইরে থেকে নিজের টাকায় খাবার আনিয়ে খেয়েছেন বলেও জানান।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন