হটলাইন বিগড়ে হোঁচট এটিসি-র

কলকাতায় যে-আইএসডি ফোন রয়েছে, গোদের উপরে বিষফোড়ার মতো সেটিও খারাপ।

Advertisement

সুনন্দ ঘোষ

কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৪:০৬
Share:

যোগাযোগের ‘হটলাইন’ খারাপ ২৫ দিনেরও বেশি সময় ধরে। তাই কলকাতা বিমানবন্দরের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল (এটিসি)-এর অফিসারেরা চাইলেও মায়ানমারের এটিসি-র সঙ্গে কথা বলতে পারছেন না। ফলে এখান থেকে যে-সব বিমান মায়ানমারে ঢুকে আরও দক্ষিণ-পূর্বে উড়ে যাচ্ছে, ভারতের সীমান্ত ছাড়ার আগে তাদের সম্পর্কে সবিস্তার তথ্য জোগান দিতে গিয়েও হোঁচট খেতে হচ্ছে। বিপদের আশঙ্কা থাকছে পদে পদে।
কলকাতায় যে-আইএসডি ফোন রয়েছে, গোদের উপরে বিষফোড়ার মতো সেটিও খারাপ। মায়ানমারের আইএসডি কাজ করছে। সে-দিক থেকে বিমান ভারতে ঢোকার আগে মায়ানমারের অফিসারেরা আইএসডি মারফত কলকাতাকে তথ্য দিতে পারছেন। মায়ানমার থেকে ফোন এলে কলকাতার তথ্যও দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ‘ব্যাক-আপ’ হিসেবে পাইলটের মাধ্যমে যোগাযোগ করে নিতে হচ্ছে। প্রয়োজনে মোবাইল থেকে সরাসরি ফোন করে যোগাযোগ করা হচ্ছে মায়ানমারের এটিসি-র সঙ্গে।
কলকাতার এটিসি-র দায়িত্বে থাকা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের জেনারেল ম্যানেজার কল্যাণ চৌধুরী বলেন, ‘‘বিদেশ সঞ্চার নিগম লিমিটেডের এই হটলাইন সমুদ্রের তলা দিয়ে গিয়েছে। সমুদ্রের তলায় সমস্যাটা কোথায়, তা চিহ্নিত হয়েছে। জলযানে নিগমের অফিসারেরা ২১ ফেব্রুয়ারি সেখানে পৌঁছবেন। ২৫ তারিখের মধ্যে হটলাইন চালু হয়ে যাবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।’’ কল্যাণবাবু জানান, এখন দু’‌দেশের অভ্যন্তরের অনেকটা আকাশ দু’‌দেশের এটিসি-তে বসে দেখা যায়। সেটাও সাহায্য করছে।
বিমানবন্দর সূত্রের খবর, দিনে হাজারখানেক বিমান কলকাতা থেকে মায়ানমারে ঢোকে। সীমান্ত ছাড়া পর্যন্ত কলকাতার এটিসি-র সঙ্গে যোগাযোগ থাকে তাদের। মায়ানমারে ঢোকার আধ ঘণ্টা আগে কলকাতা থেকে ওই হটলাইন মারফত কোন বিমান কত উচ্চতায় আছে, কোন সময়ে সেটি ঢুকছে ইত্যাদি তথ্য দেওয়া হয়। আগে থেকে এই তথ্য পেলে সেই বিমানকে নিজেদের আকাশে কত উচ্চতায় কোন রুট দিয়ে নিয়ে যাবে, তা ঠিক করে রাখে মায়ানমার এটিসি। সময়ে সেই তথ্য না-পেলে বিমানের গতি কমে যেতে পারে। এটিসি-কর্তারা জানান, উন্নত দেশগুলি অটোমেশন ব্যবস্থায় বিমানের তথ্য কম্পিউটার মারফত আদানপ্রদান করে। কিন্তু বাকি দেশগুলিতে হটলাইন ব্যবস্থাই চলছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন