Akhil Giri

Municipal Poll 2022: আপত্তি থাকলেও দলের প্রার্থিতালিকা মেনে নেবেন, অবশেষে সুর নরম অখিল গিরির

শুক্রবার রাতে প্রার্থিতালিকা ঘোষণা হওয়ার পর দলের দেওয়া দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চেয়েছিলেন মন্ত্রী অখিল গিরি। কিন্তু শনিবারই সুর নরম করলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৫:৪৭
Share:

সুর নরম করে আহ্বায়ক পদে বহাল থাকলেন অখিল গিরি। ফাইল চিত্র।

‘দাদার অনুগামী’ (বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী) হিসেবে যাঁরা এলাকা দাপিয়ে বেড়িয়েছিলেন, তাঁরাই কোন মন্ত্রে বলে কাঁথি পুরভোটে তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায় জায়গা পেয়েছেন। তাই শুক্রবার রাতে প্রার্থিতালিকা ঘোষণা হওয়ার পর দলের দেওয়া দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চেয়েছিলেন মন্ত্রী অখিল গিরি। কিন্তু শনিবারই সুর নরম করে ফের দলের দেওয়া দায়িত্ব মেনে ঘোষিত প্রার্থীদের নিয়ে ভোটে লড়াই করবেন বলে জানিয়ে দিলেন তিনি। মৎস্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমি যে তালিকা তৃণমূল নেতৃত্বের কাছে পাঠিয়েছিলাম, তার কপি আছে আমার কাছে। সব বাদ দিয়ে ‘দাদার অনুগামী’দের জায়গা দেওয়া হল কোন যুক্তিতে, তা জানি না। হয়তো আমার যোগ্যতা নেই প্রার্থী তালিকা তৈরি করার। তাই আমি দলের দেওয়া কাঁথি ও এগরা পুরসভা নির্বাচনে আহ্বায়কের পদ ছাড়তে চেয়েছিলাম।’’ একই সঙ্গে যোগ করেন, ‘‘আমি দলের অনুগত সৈনিক। তাই দায়িত্ব ছাড়ার কোনও প্রশ্ন নেই। দল যাঁদের প্রার্থী করেছে, আমি তাদের নিয়েই ভোটে লড়াই করব।’’ প্রসঙ্গত, কাঁথি পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে প্রার্থী হয়েছেন অখিল-পুত্র সুপ্রকাশ গিরি।

Advertisement

প্রার্থিতালিকা নিয়ে শনিবার সকালেও তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কথা হয়। তারপরেই নিজের সিদ্ধান্ত বদল করেন রামনগরের বিধায়ক। তবে কাঁথি পুরসভা টিকিট না পাওয়া নেতারা এখনও প্রার্থিতালিকা বদলের দাবি নিয়ে কলকাতার নেতাদের মুখাপেক্ষী। কারণ তাঁর কাছে দলের যে প্রথম ও দ্বিতীয় তালিকাটি পৌঁছেছিল, তাতে কোনও বদল নেই বলেই দাবি করেছেন মৎস্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘কোনও জেলায় তালিকা বদলেছে জানি না তবে কাঁথিতে কোনও বদল হয়নি। আমি সকালেই পার্থবাবুর সঙ্গে ফোনে কথা বলেছি। অন্তত পাঁচ থেকে ছয়টি প্রার্থী পরিবর্তন হওয়া দরকার বলে জানিয়েছি। তবে এ বিষয়ে উনি কোনও মন্তব্য করেননি। দলই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমি জানিয়েছি, যাঁরা গত ৫-১০ বছর ধরে দলে সর্বত ভাবে আছেন, তাঁদের উপেক্ষা করে ভোটে লড়াই খুব শক্ত। এ বারের প্রার্থিতালিকায় এমন অনেকেই আছেন, যাঁরা ‘দাদার অনুগামী’ হয়ে বিজেপি-র জন্য কাজ করেছেন। তৃণমূলের পতাকা লাগাতে দেননি। অথচ গত দু’এক দিন আগে তাঁরা দলে এসে টিকিট পেয়ে গেলেন। এ নিয়ে সাধারণ মানুষের এবং এলাকাবাসীর ক্ষোভ রয়েছে। আমি এলাকার পরিস্থিতি নিয়ে পার্থবাবুকে বিস্তারিত জানিয়েছি। দেখা যাক, দল যা সিদ্ধান্ত নেবে সে ভাবেই কাজ হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন