প্রতীকী ছবি।
সপ্তাহ পেরোতে না-পেরোতেই গাঙ্গেয় বঙ্গে ফের বৃষ্টির ভ্রুকুটি! হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, আজ, সোমবার গাঙ্গেয় বঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টি হতে পারে। ঝড় না-হোক, কোনও কোনও এলাকায় বইতে পারে দমকা হাওয়া। এবং আকাশ মেঘলা থাকায় দিনের তাপমাত্রা কমতে পারে।
কেন্দ্রীয় আবহাওয়া বিভাগের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল (পূর্বাঞ্চল) সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। তবে ঝড় বা শিলাবৃষ্টির আশঙ্কা নেই বলেই মনে হচ্ছে। এই দফায় মঙ্গলবার পর্যন্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।’’
আবহবিদেরা জানান, ফাল্গুনে ফের বৃষ্টি-সম্ভাবনার পিছনেও রয়েছে দুই হাওয়ার মিলন। একটি পশ্চিমি ঝঞ্ঝা আবার এ দিকে বয়ে এসেছে। তার সঙ্গে সাগরের জোলো হাওয়ার মিলনে বজ্রগর্ভ মেঘ তৈরি হতে পারে। তা থেকেই নামতে পারে বৃষ্টি। গত সপ্তাহে একই কারণে বৃষ্টি হয়েছিল কলকাতা-সহ গাঙ্গেয় বঙ্গের বিভিন্ন জেলায়। সেই বৃষ্টির জেরেই এক দশকে সব থেকে বেশি বৃষ্টির রেকর্ড গড়েছে এ বারের ফেব্রুয়ারি।
সাধারণত, ফাল্গুনে এমন বৃষ্টি দেখা যায় না। বরং ফেব্রুয়ারি থেকেই ধীরে ধীরে তাপমাত্রা বাড়তে থাকে। তাই এমন ‘শীতল’ বসন্তও শেষ কবে দেখা গিয়েছে, তা নিয়ে আলোচনা চলছে আবহবিদদের মধ্যে। কেউ কেউ আবার এর সঙ্গে জলবায়ু বদলের সম্পর্কও দেখছেন। তবে দিল্লির মৌসম ভবনের আবহবিজ্ঞানীদের মতে, এ বছর শীতের শেষে পশ্চিমি ঝঞ্ঝা (ভূমধ্যসাগরীয় এলাকা থেকে বয়ে আসা ঠান্ডা হাওয়া) পাহাড়ি এলাকার বদলে পূর্ব ভারতের উপর দিয়ে বসে যাচ্ছে। সেটা স্বাভাবিক নয় ঠিকই। কিন্তু কোনও এক বছরের ঘটনাকে জলবায়ু বদল বলে চিহ্নিত করা যায় না। বরং একে আপাতত ‘প্রকৃতির খামখেয়ালিপনা’ বলছেন তাঁরা। এই খামখেয়ালিপনা কেন, বিজ্ঞানীরা তা বোঝার চেষ্টা করছেন।