চলছে জীবাণুমুক্ত করার কাজ।—ছবি পিটিআই।
করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় সরকারের আর্থিক প্যাকেজের দাবি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের হয়ে কেন্দ্রের কাছে সহায়তার আর্জি জানিয়েছে শাসক ও বিরোধী সব দল। এরই পাশাপাশি করোনা-যুদ্ধে নিজেদের মতো করে আর্থিক সাহায্য দিতে এগিয়ে আসছেন সব রাজনৈতিক দলের নেতা ও জনপ্রতিনিধিরা।
মুখ্যমন্ত্রীর আপৎকালীন তহবিলে এক কোটি টাকা দিয়েছে যুব তৃণমূল। ডেরেক ও’ব্রায়েন, নুসরত জহান-সহ তৃণমূল সাংসদেরাও তাঁদের সাংসদ তহবিল থেকে করোনার চিকিৎসা সরঞ্জাম ও উপকরণ কেনার জন্য টাকা বরাদ্দ করছেন। লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরী বৃহস্পতিবার তাঁর এক মাসের বেতন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে। এ ছাড়াও, অধীরবাবু এবং কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য তাঁদের সাংসদ তহবিল থেকে ৩০ লক্ষ টাকা করে বরাদ্দ করেছেন করোনা মোকাবিলার স্বার্থে।
বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের আহ্বান, ‘‘করোনার চিকিৎসা ও এই রোগের কারণে উদ্ভুত পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিপুল অর্থের প্রয়োজন। দল নির্বিশেষে আমি বিধায়কদের কাছে এক মাসের ভাতা মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে দেওয়ার আবেদন করছি।’’ পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় নিজে দু’লক্ষ টাকা করোনা মোকাবিলায় দিয়ে দলের ভিতরে-বাইরে বিধায়ক, ছাত্র, শিক্ষক-সহ অন্যান্য গণসংগঠনের কাছে সহায়তার বার্তা দিয়েছেন।
রাজ্যের বামফ্রন্ট বিধায়কদের এলাকা উন্নয়ন তহবিল থেকে ১০ লক্ষ টাকা করে করোনা মোকাবিলায় দেওয়ার কথা আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকে। প্রাক্তন মন্ত্রী এবং আরএসপি-র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুভাষ নস্কর তাঁর নিজস্ব সঞ্চয় থেকে এক লক্ষ টাকা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীর আপৎকালীন তহবিলে। বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান এ দিন তাঁর এলাকা উন্নয়ন তহবিলের ১০ লক্ষ টাকা একই উদ্দেশ্যে বরাদ্দ করেছেন। পাশাপাশি, দলত্যাগীদের ধরে খাতায়-কলমে কংগ্রেসের ৩৮ জন বিধায়কের প্রত্যেকের কাছেই তিনি একই আবেদন জানিয়েছেন। এ রাজ্য থেকে নির্বাচিত বিজেপি সাংসদেরা দিয়েছেন প্রায় ১০ কোটি টাকা, বিজেপি বিধায়ক নীরজ জিম্বার এলাকা উন্নয়ন তহবিল থেকে দেওয়া হয়েছে ২০ লক্ষ টাকা।
যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেকের কথায়, ‘‘এই বিপর্যয়ের সময়ে রাজ্যের সব মানুষের সঙ্গে কাঁধ মিলিয়ে আমরা লড়াই করছি।’’ একই সুরে অধীরবাবুর মন্তব্য, ‘‘করোনার বিরুদ্ধে এটা জনতার যুদ্ধ। যেখানে যতটুকু সাহায্য যে ভাবে করা যায়, আমরা করছি।’’