বারুইপুর সেন্ট্রাল জেলের বন্দিরাই প্রথম ম্যাট্রেস পেতে পারেন।—ফাইল চিত্র।
মেঝেতে পাতা কম্বলের রোঁয়ায় গা কুটকুট করে। কিন্তু এত দিন বিকল্প বন্দোবস্ত না-থাকায় তা সহ্য করতে হচ্ছে বন্দিদের। তবে এ বার তাঁদের ঘুমের কষ্ট কিছুটা লাঘব হতে চলেছে। এত দিনে তাঁদের জন্য ম্যাট্রেস আর বিছানার চাদরের ব্যবস্থা করছে কারা দফতর। কম্বলও থাকছে তবে তা আর পাততে হবে না। প্রয়োজনে কম্বল গায়ে দিতে পারবেন বন্দিরা।
কম্বল নিয়ে মূল সমস্যা কাচাকাচির। ঠিকমতো কাচা যায় না বলেই তা ভাল পরিষ্কার হয় না। ময়লা আর কুটকুটুনির জোড়া দুর্ভোগ সইতে হয় বন্দিদের। ফোম-ম্যাট্রেস কাচতে কোনও অসুবিধা নেই। তার সঙ্গে চাদরও ধুয়ে ফেলা যাবে। এ-সব কাচাকাচির জন্য আধুনিক ওয়াশিং মেশিন ব্যবহৃত হবে বলে কারা দফতর সূত্রের খবর। ম্যাট্রেস কেনার জন্য দরপত্রের প্রক্রিয়া চলছে। তা শেষ হলেই বন্দিরা ম্যাট্রেস হাতে পাবেন। বারুইপুর সেন্ট্রাল জেলের বন্দিরাই প্রথম ম্যাট্রেস পেতে পারেন। তার পরে রাজ্যের অন্যান্য জেলে ম্যাট্রেস দেওয়া হবে। রাজ্যে সব জেল মিলিয়ে অন্তত ২২ হাজার বন্দি রয়েছেন। সকলের জন্যই ম্যাট্রেস কিনছে কারা দফতর। তবে বন্দিরা তা হাতে পাবেন ধাপে ধাপে।
কম্বল-সমস্যার সুরাহা হলেও জেলে জায়গার সমস্যা বাড়ছে। অভিযোগ, বিভিন্ন জেলে বন্দিদের স্থান সঙ্কুলান হচ্ছে না। বিশেষ করে আলিপুর সেন্ট্রাল জেল খালি করার প্রক্রিয়া চলায় অন্যান্য জেলে বন্দির সংখ্যা অনেকটাই বাড়ছে। এমনকি গুদামঘরকেও বন্দিদের থাকার জায়গা হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। ফলে ঘুমোতে সমস্যা হচ্ছে বন্দিদের। কারা দফতরের কর্তারা অবশ্য এ-সব অভিযোগ মানতে রাজি নন। তাঁদের দাবি, ‘‘সমস্যা কিছু হচ্ছে না। যেখানে যেমন জায়গা রয়েছে, সেখানে সেই অনুপাতে বন্দি রাখা হচ্ছে। বাড়তি কাউকে রাখার প্রশ্নই নেই।’’