বধূকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ

টেলিফোনে তরুণী বধূকে প্রতিবেশী যুবক উত্যক্ত করত বলে অভিযোগ। ডেকে ডেকে ভাব জমানোরও চেষ্টা করত। বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ির পাশের পুকুর পাড় থেকে বছর একুশের সেই বধূর দেহ উদ্ধারের পরে অভিযোগ উঠেছে, ওই যুবকই ধর্ষণ করে খুন করেছে তাঁকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ অক্টোবর ২০১৬ ০৩:৩৪
Share:

টেলিফোনে তরুণী বধূকে প্রতিবেশী যুবক উত্যক্ত করত বলে অভিযোগ। ডেকে ডেকে ভাব জমানোরও চেষ্টা করত। বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ির পাশের পুকুর পাড় থেকে বছর একুশের সেই বধূর দেহ উদ্ধারের পরে অভিযোগ উঠেছে, ওই যুবকই ধর্ষণ করে খুন করেছে তাঁকে।

Advertisement

ঘটনাস্থল, দক্ষিণ ২৪ পরগনার উস্তি। থানায় অভিযোগ দায়ের হয় আলমগীর লস্কর নামে প্রতিবেশী ওই যুবকের নামে। শনিবার ধরা পড়ে সে। আলমগীরের মা করিনা বিবি স্থানীয় রঙ্গিলাবাদ পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য। তাঁর স্বামী মহসিন লস্করকেও আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।

মেয়েটির শ্বশুর বাড়ি এবং বাপের বাড়ি কাছাকাছি। মেয়ের বাবা বলেন, ‘‘জামাই কর্মসূত্রে বাইরে থাকে। দু’মাস ছাড়া ফেরে। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আলমগীর নানা ভাবে মেয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়াতে চেয়েছিল। বিরক্ত করতে মেয়েকে। মেয়ের শ্বশুরবাড়ির লোকজন এূবং আমরা তাতে আপত্তি করেছিলেন।’’ এই নিয়ে আলমগীরের পরিবারের সঙ্গে তাঁদের কয়েকবার কথা কাটাকাটি হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তরুণীর বাবা। কিন্তু তাঁর আক্ষেপ, যুবকের পরিবার কোনও ভাবে ছেলের বেয়াড়াপনায় রাশ টানতে চায়নি। শাসক দলের সঙ্গে যোগাযোগের কারণে পরিবারটির ঔদ্ধত্য ছিল লাগামছাড়া।

Advertisement

কী ভাবে উদ্ধার হল তরুণীর দেহ?

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার তাঁর বাপের বাড়িতে একটি অনুষ্ঠান ছিল। সেখানে যাবেন বলে তরুণী শ্বশুরবাড়ি থেকে সন্ধের দিকে বেরিয়েছিলেন। কিন্তু বাপের বাড়ি পৌঁছননি। রাতের দিকে শুরু হয় খোঁজাখুঁজি। পর দিন, বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ি থেকে কয়েক হাত দূরে একটি ডোবার ধারে তরুণীর দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। উবু হয়ে পড়ে ছিল দেহ। মুখ ছিল জল-কাদার মধ্যে গোঁজা। পাড়ে রাখা ছিল ওড়না, চপ্পল। পুলিশ খবর পেয়ে দেহ উদ্ধার করে ময়না-তদন্তে পাঠায়। দেহে প্রাথমিক ভাবে কোনও আঘাতের চিহ্ন মেলেনি। কী ভাবে তরুণীকে খুন করা হল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তবে ধর্ষণ করা হয়েছিল কিনা, তা ময়না-তদন্তের রিপোর্ট আসার পরেই বলা সম্ভব বলে জানিয়েছেন তদন্তকারী অফিসারেরা।

সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েতের প্রধান তথা তৃণমূল নেত্রী নমিতা গায়েন বলেন, ‘‘তরুণীকে উত্যক্ত করা নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে উত্তেজনা ছিল, সে বিষয়টি আমার জানা ছিল না। পুলিশ তদন্ত করে দেখুক।’’ তৃণমূল নেতা মানবেন্দ্র মণ্ডলের কথায়, ‘‘দল এ ধরনের ঘটনার নিন্দা করে। পুলিশ নিজেদের মতো করে কাজ করুক।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement